দিল্লিতে সপ্তাহ শেষের কার্ফু। ফাইল চিত্র।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় দিল্লিতে সপ্তাহ শেষের কারফিউ শিথিল করার সুপারিশ করেছিল মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার। কিন্তু শুক্রবার এ সংক্রান্ত সুপারিশ খারিজ করলেন কেন্দ্রশাসিত রাজধানী অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল। তবে বেসরকারি দফতরগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালু করার জন্য দিল্লি সরকারের প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন তিনি।
লেফটেন্যান্ট গভর্নরের দফতরকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্বের কথা ভেবে আপাতত সাপ্তাহান্তিক কার্ফু প্রত্যাহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা ৩০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছিল। এর পরেই দিল্লিতে সাপ্তাহান্তিক কার্ফু জারি করেছিল কেজরীবাল সরকার।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে নতুন করে ১০,৩০৬ জন সংক্রমিত হয়েছেন। যা তার আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় ১০.৭২ শতাংশ বেশি। যদিও মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৩। গত বছর জুন মাসে দিল্লিতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৪৪-এ পৌঁছেছিল। তার পর থেকে কখনওই ২৪ ঘণ্টায় এত জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়নি।
সংক্রমণ অত্যাধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সপ্তাহ শেষের দিনগুলিতে কার্ফু ঘোষণা করেছিল দিল্লির সরকার। শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত বলবৎ থাকে এই কার্ফু। সাপ্তাহান্তিক ছুটির কারফিউ চলাকালীন, শুধুমাত্র অত্যাবশকীয় পণ্য সরবরাহ এবং জরুরি পরিষেবার সাথে জড়িতরা এবং যাঁরা জরুরি পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন, তাঁরাই বাইরে যেতে পারেন। ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাড়া সমস্ত দোকান বন্ধ করতে হয়।
রেস্তোরাঁ, বার, স্কুল, জিম এবং জরুরি নয় এমন পরিষেবা সংক্রান্ত অফিসগুলিও দিল্লিতে বন্ধ। বাজার এবং মলগুলিকে জোড়-বিজোড় ভিত্তিতে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন সম্প্রতি বলেছিলেন, ‘‘পরিস্থিতির উন্নতি হলেও আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ শিথিলের পক্ষে।’’ শুক্রবার কেজরীবাল সরকারকে সেই পরামর্শই দিয়েছেন বৈজল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy