লকডাউনের সময় যাঁদের জন্মদিন পড়েছে, তাঁরা কেউ সেলিব্রেট করতে পারছেন না। আর তা নিয়ে প্রচুর মিমও ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু তাঁদের পাশেও যদি এমনভাবে পঞ্জাবের পুলিশ থাকত তবে আর কেউ মিম তৈরি করতে পারতেন না। যেমন মাইরার প্রথম জন্মদিনে বাবা কেক কিনে আনতে না পারলেও পঞ্জাব পুলিশের এক একদল কর্মী সাইরেন বাজিয়ে কেক দিয়ে গেলেন মাইরার জন্য। সেই সঙ্গে গোটা পাড়াকে শুনিয়ে 'হ্যাপি বার্থডে' গেয়ে গেলেন তাঁরা।
পঞ্জাব পুলিশের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট হয়েছে শনিবার। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি বাড়ির সামনে এসে থামছে কয়েকটি পুলিশের বাইক। তাতে মহিলা, পুরুষ কর্মীরা রয়েছেন। একটি বাইকে একজনই রয়েছেন, প্রত্যেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেই বাইক চালাচ্ছেন।
বাইক থেকে একজন পুলিশ কর্মী নেমে গিয়ে ডোর বেল বাজাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর ছোট্ট একটি মেয়েকে কোলে নিয়ে গেটের বাইরে বেরিয়ে আসেন এক দম্পতি। আর তাঁদের হাতে ওই পুলিশ কর্মী তুলে দেন একটি জন্মদিনের কেক ও উপহার। সেই সঙ্গে পুলিশের বাইকে লাগানো অ্যানাউন্সমেন্টের মাইক্রোফোন থেকে সবাই মিলে ছোট্ট মেয়েটির জন্য গাইলেন বার্থডে সং।
আরও পড়ুন: বাইরে বেরনো বন্ধ তো কী হয়েছে! বাড়ির পিছনেই তৈরি করে নিলেন সমুদ্র সৈকত
পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘এক বছরের মাইরার জন্মদিনের মানসা জেলার পুলিশের সারপ্রাইজ। তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হল জন্মদিনের কেক’। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে মাইরা একবার কেক ছুঁয়েও দেখার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: রাজপ্রাসাদ থেকে বেরিয়ে করোনার লড়াইয়ে সামিল, হাসপাতালে কাজ করছেন রাজকুমারী
মাইরার হয়তো এই ঘটনা মনে থাকবে না। কিন্তু তার বাবা মা হয়তো তাকে শোনাবেন, পঞ্জাব পুলিশ কী ভাবে তার প্রথম জন্মদিনে কেক দিয়ে গিয়েছিল। এমন একটি পোস্ট ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। নেটাগরিকরা পঞ্জাব পুলিশের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
দেখুন সেই ভিডিয়ো:
Mansa Police's sweet gesture for Maira's 1st birthday. Policemen gave her a surprise by delivering a Birthday Cake at her doorsteps.#TuhadiSevaSadaFarz #PunjabFightsCorona #Punjabpoliceindia
— Punjab Police India (@PunjabPoliceInd) April 18, 2020
@pp_mansa pic.twitter.com/nqL2nhfbDs
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)