Advertisement
০২ মে ২০২৪
Coronavirus Lockdown

যানবাহন নেই, হিন্দু বৃদ্ধার শেষকৃত্য সম্পন্ন হল মুসলিম যুবকদের কাঁধে চড়ে

তাঁরাই কাঁধে করে ওই হিন্দু বৃদ্ধার দেহ  শেষকৃত্যের জন্য আড়াই কিলোমিটার হেঁটে শ্মশানে নিয়ে যান।

হিন্দু বৃদ্ধার দেহ কাঁধে মুসলিম যুবকরা। ছবি টুইটার থেকে সংগৃহীত।

হিন্দু বৃদ্ধার দেহ কাঁধে মুসলিম যুবকরা। ছবি টুইটার থেকে সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
ইনদওর শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০ ১৫:৫১
Share: Save:

লকডাউনের জেরে বন্ধ যানবাহন পরিষেবা। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর এই সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছিল এক বৃদ্ধার। কিন্তু করোনাভাইরাস আতঙ্কে তাঁর শেষযাত্রায় অংশ নেননি আত্মীয়-স্বজন। শেষে প্রতিবেশী মুসলিম যুবকরা এগিয়ে আসেন। তাঁরাই কাঁধে করে ওই হিন্দু বৃদ্ধার দেহ শেষকৃত্যের জন্য আড়াই কিলোমিটার হেঁটে শ্মশানে নিয়ে যান।

এই ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে। সেই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক হারে ভাইরাল হয়েছে। তার পরই ওই সম্প্রীতির চিত্রকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন নেটাগরিকরা। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ওই বৃদ্ধার দেহ কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছেন মুসলিম যুবকরা। তাঁদের মুখে মাস্ক ও মাথায় ফেজটুপি।

৬৫ বছরের ওই বৃদ্ধা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গত সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু লকডাউনের কারণে তাঁর ছেলেদের আসতে দেরি হয়। তাঁর অধিকাংশ আত্মীয়ই অন্ত্যেষ্টীতে যেতে রাজি হননি। তখনই এগিয়ে আসেন ওই মুসলিম যুবকরা। তাঁদের মধ্যে এক যুবক এক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘‘আমরা ওঁকে ছোট থেকে চিনতাম। এটা আমাদের কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।’’

এই ঘটনার ছবি নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করেছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। সেই ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘‘এটা সমাজে একটা উদাহরণ হয়ে রইল। এটাই আমাদের গঙ্গা-যমুনার সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছে। এই দৃশ্য পারস্পরিক সৌভ্রাতৃত্ব ও ভালবাসাকে আর দৃঢ় করবে।’’

আরও পড়ুন: বাঘের করোনা সংক্রমণের খবর শুনে নিজের ছাগলদের মাস্ক পরাচ্ছেন তেলঙ্গানার এক ব্যক্তি

আরও পড়ুন: লকডাউন ভেঙে পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করে আটক ডিএইচএফএল শীর্ষকর্তারা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Viral Madhya Pradesh Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE