Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in INdia

২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৩২ হাজার! দেশে মোট আক্রান্ত ন’লক্ষ ৬৮ হাজার

২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৬০৬ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট ২৪ হাজার ৯১৫ জনের প্রাণ কাড়ল করোনাভাইরাস।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ছ’লক্ষেরও বেশি মানুষ। গ্রাফিক-শৌভিক দেবনাথ।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ছ’লক্ষেরও বেশি মানুষ। গ্রাফিক-শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২০ ১০:২৫
Share: Save:

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ন’লাখ ছাড়িয়ে গেল। সেই সঙ্গে বৃহস্পতিবার লাফ দিয়ে বাড়ল এক দিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা। বিগত কয়েক দিনে ২৮-২৯ হাজারের গণ্ডিতে বাড়ছিল দৈনিক সংক্রমণ। আজ তা ৩২ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ হাজার ৬৯৫ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার নিরিখে যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ। এক দিনে এত সংখ্যক মানুষ এর আগে আক্রান্ত হননি। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন নয় লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৭৬ জন। আক্রান্তের সঙ্গে সংক্রমণের হারও ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিদিন যে সংখ্যক মানুষের টেস্ট হচ্ছে, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট কোভিড পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণের হার ৯ শতাংশ।

আক্রান্তের পাশাপাশি ধারাবাহিক ভাবে মৃত্যু বেড়ে ২৫ হাজার ছুঁইছুঁই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৬০৬ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট ২৪ হাজার ৯১৫ জনের প্রাণ কাড়ল করোনাভাইরাস। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ১০ হাজার ৯২৮ জন। মৃত্যুর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা দিল্লিতে প্রাণ গিয়েছে তিন হাজার ৪৮৭ জনের। দু’হাজার ১৬৭ জনের প্রাণহানি নিয়ে মৃত্যু-তালিকার তৃতীয় স্থানে তামিলনাড়ু। গুজরাতে দু’হাজার ৭৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন করোনার কারণে। উত্তরপ্রদেশ (১,০১২) ও পশ্চিমবঙ্গেও (১০০০) মৃত্যুর সংখ্যা হাজার। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে কর্নাটক (৯২৮), মধ্যপ্রদেশ (৬৮২), রাজস্থান (৫৩০), অন্ধ্রপ্রদেশ (৪৫২), তেলঙ্গানা (৩৮৬), হরিয়ানা (৩১৯), পঞ্জাব (২২১), জম্মু ও কাশ্মীর (২০৬), বিহার (১৮০)। বাকি রাজ্যগুলিতে মৃতের সংখ্যা এখনও ১০০ পেরোয়নি। তবে শেষ ক’দিনে কর্নাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশে দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা বৃদ্ধি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।

আক্রান্ত দ্রুত হারে বাড়লেও, ভারতে করোনা রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যানটাও বেশ স্বস্তিদায়ক। আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ছ’লক্ষেরও বেশি মানুষ। অর্থাৎ মোট আক্রান্তের ৬৩ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২০ হাজার ৭৮৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ছ’লক্ষ ১২ হাজার ৮১৪ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হলেন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

শুরু থেকেই মহারাষ্ট্রে বল্গাহীন ভাবে বেড়েছে সংক্রমণ। গোড়া থেকেই এই রাজ্য সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে। তার পর সময় যত গড়িয়েছে, এই রাজ্য নিয়ে সারা দেশের শঙ্কা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় আট হাজার নতুন সংক্রমণের জেরে সে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন দু’লক্ষ ৭৫ হাজার ৬৪০ জন। দৈনিক চার সাড়ে চার হাজারের করে বেড়ে তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত দেড় লক্ষ পেরলো। সেখানে মোট আক্রান্ত এক লক্ষ ৫১ হাজার ৮২০ জন। তুলনায় রাজধানী দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণে কিছুটা হলেও লাগাম পড়েছে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ১৬ হাজার ৯৯৩ জন।

বিগত কয়েকদিনে কর্নাটকে দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছে আড়াই-তিন হাজারের বেশি। যার জেরে সংক্রমণ তালিকার চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে দক্ষিণের এই রাজ্য। সেখানে মোট আক্রান্ত ৪৭ হাজার ২৫৩ জন। ৪৪ হাজার ৫৫২ আক্রান্ত নিয়ে পঞ্চমে গুজরাত। উত্তরপ্রদেশ (৪১,৩৮৩), তেলঙ্গানা (৩৯,৩৪২), অন্ধ্রপ্রদেশে (৩৫,৪৫১) ও পশ্চিমবঙ্গে (৩৪,৪২৭) আক্রান্তের সংখ্যা রোজদিন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে চলেছে। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে রাজস্থান (২৬,৪৩৭), হরিয়ানা (২৩,৩০৬), বিহার (২০,৬১২), মধ্যপ্রদেশ (১৯,৬৪৩), অসম (১৮,৬৬৬), ওড়িশা (১৪,৮৯৮), জম্মু ও কাশ্মীর (১১,৬৬৬)-এর মতো রাজ্য। কেরল, পঞ্জাব, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, ত্রিপুরার মোট আক্রান্ত এখনও ১০ হাজারের কম।

পশ্চিমবঙ্গেও রোজ দিন কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন দেড় হাজারেরও বেশি (১,৫৮৯)। এই নিয়ে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্ত হলেন ৩৪ হাজার ৪২৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। রাজ্যে এ পর্যন্ত রাজ্যে মোট মৃত্যু হল এক হাজার জনের।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus COVID-19 Coronavirus in India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE