দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় সোমবার দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়েছিল। মঙ্গলবার সেই সংখ্যা কিছুটা কমে হয়েছে ৯৬ হাজার ৯৮২। যদিও এই সংখ্যক দৈনিক সংক্রমণ কোভিড পরিস্থতি নিয়ে নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে। এই সংক্রমণ রুখতে কিছু কিছু রাজ্যে আংশিক ভাবে জারি হয়েছে লকডাউনের বিধিনিষেধ।
গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৯৭ হাজার বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ১ কোটি ২৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৯ জন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দৈনিক মৃত্যু সংখ্যাও বাড়িয়ে দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের জন্য মৃত্যু হয়েছে ৪৪৬ জনের। এ নিয়ে মোট ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫৪৭ জনের প্রাণ কাড়ল করোনাভাইরাস। হঠাৎ করে সংক্রমণ বৃদ্ধি দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বাড়িয়েছে। এখন দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭ লক্ষ ৮৮ হাজার ২২৩ জন।
দেশের এই দৈনিক সংক্রমণের প্রায় অর্ধেক হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। গত বছরের মতো এ বছরও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি বেসা়মাল এই রাজ্য। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত ৪৭ হাজারের বেশি। ছত্তীসগঢ়ের করোনা পরিস্থিতিরও দ্রুত অবনতি হচ্ছে। দৈনিক আক্রান্ত সেখানে ৫ হাজার থেকে বেড়ে ৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। কর্নাটকেও ৫ হাজার পার করেছে সংক্রমণ। তামিলনাড়ু, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাবে রোজ আক্রান্ত হচ্ছেন ৩ হাজারের বেশি। রাজস্থান, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশেও আক্রান্ত গত কয়েক দিনে বেড়েছে।
ইতিমধ্যেই দেশে টিকাকরণ কর্মসূচি জোরকদমে চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে টিকা দেওয়া হয়েছে ৪০ লক্ষ ৫ হাজার ৭৬৩ জনকে। এ নিয়ে দেশে মোট কোভিড টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৮ কোটি ৩১ লক্ষ ১০ হাজার ৯২৬। যদিও টিকাকরণ হলেও কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সাধারণ মানুষকে বারবার আবেদন করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও দেশের অনেক জায়গাতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব স্পষ্ট। এই সচেতনতার অভাব কোভিড পরিস্থিতি আরও জটিল করতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy