অসমে কংগ্রেস সরকারের আমলে সমাজকল্যাণ দফতরে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠল। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এ বিষয়ে কড়া মনোভাব নিয়ে অবিলম্বে পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
দফতরের কাজকর্ম নিয়ে মাস দুয়েক আগে বিশদ রিপোর্ট তলব করেছিলেন সর্বানন্দ। সম্প্রতি সেই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর হাতে জমা দেন দফতরের কর্তারা। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছর দফতরে অন্তত দেড়শো কোটি টাকার বেনিয়ম ধরা পড়েছে। ভুয়ো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও ছাত্রছাত্রীর ভুয়ো সংখ্যা দেখিয়ে দফতর থেকে বিভিন্ন খাতে মোটা টাকা সরানোর ঘটনা সামনে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সুবিধেপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীর তালিকায় থাকা ৪৪ লক্ষ শিশুর মধ্যে ন’লক্ষ শিশুর নাম ছিল ভুয়ো। তাদের জন্য প্রতি বছর অন্তত দেড়শ কোটি টাকার খাদ্য জোগান দেওয়ার হিসেব দেখানো হয়েছে।’’ রিপোর্টে ৩৯০টি ভুয়ো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সন্ধান মিলেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, রাজ্যবাসীর টাকা নিয়ে এত বড় কারচুপি মেনে নেওয়া যায় না। রাজ্যের প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা কাদের হাতে গিয়েছে তা খুঁজে বের করা হবে। কাউকেই রেয়াত করা হবে না।”
অন্য দিকে, অসম পুলিশের দুই আইপিএস, আর চন্দ্রনাথন ও অনুরাগ অগ্রবালকে ছুটিতে পাঠিয়ে তাঁদের বিবাদ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সোনোয়াল। বেশ কয়েকদিন ধরেই এডিজি চন্দ্রনাথন ও আইজি অগ্রবালের ঝগড়া স্থানীয় সংবাদপত্রগুলির শিরোনামে। চন্দ্রনাথন অভিযোগ করেন, অনেক তাবড় পুলিশকর্তার মুখোশ খুলে দেওয়া ও দুর্নীতি ধরে ফেলায় অগ্রবাল শিলচরে চন্দ্রনাথনের নামে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে তাঁকে ফাঁসাতে চাইছেন। প্রকাশ্যে দুই আইপিএসের কাজিয়ায়
মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুব্ধ। ইতিমধ্যে দু’জনকেই শো-কজ করা হয়েছে। সোনোয়াল জানান, দুই আইপিএসের মধ্যে এমন সংঘাত কাম্য নয়। গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত করবেন মেঘালয়ের প্রাক্তন ডিজিপি শিবব্রত কাকতি। তিরিশ দিনের মধ্যে তিনি তদন্ত রিপোর্ট দেবেন। ততদিন দুই পুলিশকর্তাকেই ছুটিতে যেতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy