গত ১১ নভেম্বর বিহার বিধানসভায় দ্বিতীয় তথা শেষ দফার সঙ্গেই দেশের ছ’টি রাজ্যের (রাজস্থান, পঞ্জাব, তেলঙ্গানা, ঝাড়খণ্ড, মিজ়োরাম এবং ওড়িশা) ছ’টি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। শুক্রবার সকাল থেকে সেগুলিতে গণনা শুরু হয়েছে।
কাশ্মীর উপত্যকার বডগামে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রার্থীকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির পিডিপি। জম্মু উপত্যকার নগরোটায় এগিয়ে বিজেপি। দ্বিতীয় স্থানে ন্যাশনাল প্যান্থারস পার্টি সেখানে শাসকদল ন্যাশনাল কনফারেন্স তৃতীয় স্থানে। গত বছরের বিধানসভা ভোটে বডগাম এবং গান্দরবল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে গান্দরবল রেখে বডগামের বিধায়কপদ ছাড়েন তিনি। সেই কারণে এ বার উপনির্বাচন হয়েছে বডগামে। অন্য দিকে, বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্র সিংহ রানার (কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহের ভাই) মৃত্যুর কারণে ভোট হয়েছে জম্মু উপত্যকার নগরোটা বিধানসভা কেন্দ্রে।
রাজস্থানের অন্তা বিধানসভা আসনে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে বিজেপি বিধায়ক কাঁওয়ারলাল মীনা এক সরকারি আধিকারিককে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে। সাজা ঘোষণার ফলে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে বিধায়কপদ হারিয়েছেন তিনি। সেখানে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। বিজেপিকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে নির্দল প্রার্থী। তেলঙ্গানার জুবিলি হিলস, ওড়িশার নুয়াপাড়া, ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলা, পঞ্জাবের তরন তারন এবং মিজ়োরামের ডাম্পায় উপনির্বাচন হচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিধায়কদের মৃত্যুর জেরে।
ওই কেন্দ্রগুলির মধ্যে জুবিলি হিলস বিআরএস (ভারত রাষ্ট্র সমিতি), নুয়াপাড়া বিজেডি (বিজু জনতা দল), ঘাটশিলা জেএমএম (ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা), তরন তারন আপ (আম আদমি পার্টি) এবং ডাম্পা এমএনএফ (মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট)-এর দখলে ছিল। ইতিমধ্যেই ডাম্পা পুনর্দখল করেছে এনএনএফ। ভোটগণনার প্রবণতা বলছে, জুবিলি হিলসে কংগ্রেস, নুয়াপাড়ায় বিজেপি, তরণ তারণে আপ, ঘাটশিলায় জেএমএম এগিয়ে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তরন তারনে কংগ্রেস-বিজেপিকে পিছনে ফেলে আপের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছে শিরোমনি অকালি দল। ঘাটশিলায় পিছিয়ে বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেনের পুত্র বাবুলাল।