বাংলার একাধিক জেলায় সম্পাদক নির্বাচনে দলীয় নিয়মের বাইরে যেতে হয়েছে সিপিএমকে। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা পেরিয়ে গেলেও ত্রিপুরায় রাজ্য কমিটি এবং সম্পাদকমণ্ডলীতে রেখে দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে। বামশাসিত কেরলেও বয়সবিধি ভেঙে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে রেখে দেওয়া হল রাজ্য কমিটিতে। নবগঠিত ১৭ জনের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতেও প্রথম নাম বিজয়নেরই।
বিজয়নের বয়স এখন ৭৯। সিপিএমের নিয়মানুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকার ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৭৫। রাজ্যগুলিতে তার কম বয়সকে ঊর্ধ্বসীমা হিসাবে নির্ধারিত করা রয়েছে। সেখানে প্রবীণ বিজয়নকে ফের রেখে দিয়ে ‘ব্যতিক্রমী’ পথে হাঁটতে হল সিপিএমকে। যাকে সার্বিক ভাবে নেতৃত্বের সঙ্কট হিসাবেই দেখছেন অনেকে।
আবার এর পাল্টা যুক্তিও রয়েছে। সামনের বছর কেরলে বিধানসভা ভোট। তার আগে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে যদি রাজ্য কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তা হলে জনমানসে অন্য রকম বার্তা যেত। সে কারণেই বিজয়নকে রেখে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, তিন বছর আগে কেরলের কুন্নুরে যখন সিপিএমের পার্টি কংগ্রেস হয়েছিল, তখনই বিজয়নের কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকার বয়স পেরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু একমাত্র বাম মুখ্যমন্ত্রীকে বাদ দেয়নি সিপিএম। কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি পলিটব্যুরোতেও রয়েছেন তিনি। এপ্রিলে অনুষ্ঠিতব্য পার্টি কংগ্রেসের আগে সিপিএমে জল্পনা তৈরি হয়েছে, এ বারও কি বিজয়নকে রেখে দেওয়া হবে?
আরও পড়ুন:
কেরলের কোল্লামে অনুষ্ঠিত সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন শেষ হয়েছে রবিবার। ৮৯ জনের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। যাতে নতুন মুখ ১৭ জন। সম্পাদক হয়েছেন এমভি গোবিন্দনই।