প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা হাতানোর জন্য একের পর এক কৌশল বদলাচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। আর সাইবার অপরাধীদের সেই কৌশলগুলি নিয়েই দেশবাসীকে সতর্ক করল কেন্দ্র। কয়েক দিন আগেই ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাইবার অপরাধীদের এই কৌশলকে কী ভাবে ব্যর্থ করতে হবে, তার উপায়ও বলে দিয়েছিলেন তিনি। এ বার আরও একটি নয়া কৌশল প্রকাশ্যে আসতেই সতর্ক করল তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক।
আরও পড়ুন:
অনেকেই আচমকা ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘনের বার্তা পাচ্ছেন। তা কখনও ইমেল মারফত, কখনও মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে। এই মেসেজগুলিকে একেবারেই এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ওই মেসেজগুলিতে একটি করে লিঙ্কও দেওয়া থাকছে। আর তার মধ্যেই রয়েছে প্রতারণার ফাঁদ। ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘন হয়নি, অথচ এমন অনেকেই বার্তা পাচ্ছেন যে, আইন লঙ্ঘন করেছেন। তার পরই একটি মেসেজ ঢুকছে, ‘জরিমানা না দিলে আপনার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হবে।’ সঙ্গে যে লিঙ্ক রয়েছে সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই হুবহু পরিবহণ দফতরের ওয়েবসাইটের মতো ভুয়ো ওয়েবসাইটে গিয়ে ঢুকবে। কোনও ভাবেই বুঝে ওঠা সম্ভব হবে না সেটি যে ভুয়ো। ফলে ওই লিঙ্কে ক্লিক করলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সমস্ত তথ্য পেয়ে যাচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। আর তার পরই ‘অপারেশন’ শুরু।
তাই এই ধরনের প্রতারণা এড়াতে মেসেজগুলি এড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। মেসেজ পাওয়ার পর তার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন। লিঙ্কে ক্লিক করাই শ্রেয়। ওয়েবসাইটি ভুয়ো কি না খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। আসল চালানে গাড়ির ইঞ্জিন এবং চেসিস নম্বর দেওয়া থাকবে। আসল ই-চালানের যে বার্তা আসবে তার সঙ্গে দেওয়া পরিবহণ দফতরের দেওয়া লিঙ্কের শেষে ডট গভ ডট ইন থাকবে। আর ভুয়ো লিঙ্কের শেষে শুধু ডট ইন থাকবে।