Advertisement
E-Paper

‘আমাদের শেষকৃত্য একসঙ্গে কোরো’, শিক্ষিকার বকুনির পর আত্মঘাতী দুই সহপাঠী, আর কী লিখে গেল?

হায়দরাবাদের সরকারি স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ত ওই দুই কিশোরী। তাদের বিরুদ্ধে স্কুলে ছোটদের হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। তাই শিক্ষিকার কাছে বকুনিও খেয়েছিল তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৫৭
An image representing death

—প্রতীকী চিত্র।

শিক্ষিকার কাছে বকুনি খেয়ে একসঙ্গে আত্মঘাতী হল দুই কিশোরী। একই স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত তারা। স্কুলে তাদের বিরুদ্ধে ছোটদের হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। সেই কারণেই শিক্ষিকার কাছে বকুনি খেয়েছিল দু’জন। তার পর হস্টেলের ঘর থেকে তাদের দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুর আগে সুইসাইড নোট লিখে রেখে গিয়েছে তারা।

ঘটনাটি হায়দরাবাদের। সুইসাইড নোটে দুই সহপাঠী জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে স্কুলে যে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অন্য কারও দোষের সাজা তাদের দেওয়া হয়েছে। চক্রান্ত করে তাদের ফাঁসানো হয়েছে বলেও চিঠিতে জানিয়েছে দু’জন। তাদের চিঠির বয়ান অনুযায়ী, ‘‘আমাদের কেউ বিশ্বাস করল না। আমরা যা করিনি, তার জন্য আমাদের শাস্তি পেতে হচ্ছে। আমরা এটা আর সহ্য করতে পারছি না। তাই মরে যাচ্ছি। আমাদের শেষকৃত্য একসঙ্গে কোরো।’’

কেউ বিশ্বাস না করলেও চিঠিতে এক জনের বিশ্বাসের কথাও জানিয়ে গিয়েছে দুই কিশোরী। তারা জানিয়েছে, একমাত্র তাদের হস্টেলের দায়িত্বে যিনি ছিলেন, তিনিই তাদের বিশ্বাস করেছিলেন।

এই ঘটনার পর জেলা শিক্ষা আধিকারিক বলেন, ‘‘ওদের বিরুদ্ধে স্কুলে খুবই সামান্য একটি অভিযোগ উঠেছিল। হস্টেলের পরিচালিকা ওদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সান্ত্বনা দেন। কিন্তু শিক্ষিকার বকুনির পর ওরা দু’জনই খুব হতাশ হয়ে পড়েছিল।’’

কিশোরীদের পরিবার গোটা ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবি করেছেন। স্কুল বা হস্টেল থেকে কেউ কেন আগে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এই মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। মৃতদের পরিবারের তরফে হস্টেলের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

hyderabad Death News Suicide Dalit
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy