Advertisement
E-Paper

পুত্র মৌলবি, অবসাদে দাউদ

‘এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট’ প্রদীপ শর্মার নেতৃত্বে তোলাবাজির মামলায় দাউদের ভাইকে গ্রেফতার করেছে ঠাণে পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:২৪
দাউদ ইব্রাহিম। ফাইল ছবি।

দাউদ ইব্রাহিম। ফাইল ছবি।

ক্ষমতার শীর্ষে বসেও নাকি সুখ নেই দাউদ ইব্রাহিমের। উল্টে মাঝে মাঝেই নাকি মানসিক অবসাদে ভুগছে সে। ছেলে তার সাম্রাজ্য না সামলে মৌলবি হয়ে যাওয়ায় সে বেজায় চিন্তায় পড়েছে বলে দাবি ঠাণে পুলিশের। দাউদের ভাই ইব্রাহিম কাসকরকে জেরা করে নাকি এমনটাই তথ্য পেয়েছে তারা।

‘এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট’ প্রদীপ শর্মার নেতৃত্বে তোলাবাজির মামলায় দাউদের ভাইকে গ্রেফতার করেছে ঠাণে পুলিশ। প্রদীপই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, দাউদের বছর একত্রিশের ছেলে মইন নওয়াজ ডি কাসকর মৌলবি হয়েছে। বাবার ‘পাপের সাম্রাজ্যে’ তার আর কোনও আগ্রহ নেই।

প্রদীপের দাবি, বিজনেস ম্যানেজমেন্টে স্নাতক মইন এক সময়ে বাবার কাজে সাহায্য করত। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সে করাচির এক ধনী ব্যবসায়ীর মেয়ে সানিয়া শেখকে বিয়ে করে। কিন্তু ক্রমশ ধর্মের দিকে ঝুঁকে পড়ে মইন। এখন দস্তুরমতো প্রশিক্ষিত মৌলবি সে। করাচির ক্লিফটনে দাউদের বিলাসবহুল বাংলো ছেড়ে থাকে পাশের এক মসজিদে। মইনের স্ত্রী সানিয়া ও তাদের তিন সন্তানও সেখানেই থাকে।

প্রদীপের দাবি, ছেলের এই সিদ্ধান্তে চিন্তায় পড়েছে দাউদ। কারণ, তার ভাই আনিসের স্বাস্থ্য বিশেষ ভাল নেই। বাকি যে ভাইরা তার সঙ্গে বিদেশে থাকত তারা মারা গিয়েছে। তার পরে বিশাল ‘ডি কোম্পানি’র কর্ণধার কে হবে তা স্থির করতে পারছে না অন্ধকার দুনিয়ার বেতাজ বাদশা।

মইন ছাড়া দাউদ ও তার স্ত্রী মেহজাবিনের দুই মেয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে মাহরুখ ২০০৬ সালে বিয়ে করে প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদের ছেলেকে। অন্য মেয়ে মাহরিনের বিয়ে হয়েছে আমেরিকার এক ধনী ব্যবসায়ীর ছেলের সঙ্গে।

ঠাণে পুলিশের দাবি, দাউদের পরিবারের অন্দরে আরও কিছু গোলমালের কথা জানে ইকবাল। তাকে জেরা করে সে সব কথা জানতে পারলে দাউদের ভবিষ্যৎ কৌশল সম্পর্কে আগাম আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে। হাল্কা সুরে এক পুলিশ কর্তা বলছেন, ‘‘ছেলের বিষয়টি নিয়ে দাউদ খুব বিব্রত। এখানে তার পোষা খুনির দল বা অগাধ অর্থ—কোনওটাই কাজে লাগছে না।’’

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা জানাচ্ছেন, সব তথ্যই যাচাই করে দেখা হচ্ছে। কারণ, দাউদের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের পুলিশ ও প্রশাসনের এখনও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাই তাদের দেওয়া তথ্য সব সময়ে নির্ভরযোগ্য নয়। কেন্দ্রের কর্তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, দাউদের পয়লা নম্বর দুশমন ছোটা রাজন ভারতে এসে মুম্বই পুলিশের হেফাজতে থাকতে চায়নি। ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রত্যর্পণের আগেই সে জানিয়েছিল মুম্বই পুলিশের দাউদ-যোগের কথা। তাকে দিল্লিতে রাখা হয়েছিল।

muslim preache Dawood Ibrahim
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy