Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

এনসেফ্যালাইটিসে মৃত্যু অব্যাহত অসমে, মৃত ১৫৬

এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে অসমের যে সব স্বাস্থ্যকর্মীকে এনআরসির কাজে লাগানো হয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানাল জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন।

বিহারের এই ছবি এখন দেখা যাচ্ছে অসমেও। ছবি: পিটিআই।

বিহারের এই ছবি এখন দেখা যাচ্ছে অসমেও। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি ও আগরতলা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯ ০১:১৮
Share: Save:

বিহারের পরে এ বার অসমে জাপানি এনসেফ্যালাইটিস (জেই) ও অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিস সিনড্রোম (এইএস)-এ মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই মহামারীর আকার নিচ্ছে। আজ জেই ও এইএসে মৃত্যুর সংখ্যা যথাক্রমে ৩ ও ৮। এখন পর্যন্ত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী জেই-তে মৃত্যুর সংখ্যা ৬৮ ও এইএসে ৮৮।

এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে অসমের যে সব স্বাস্থ্যকর্মীকে এনআরসির কাজে লাগানো হয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানাল জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন। এনআরসি কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলাকে এই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, এনআরসির কাজে যুক্ত কোনও সরকারি কর্মীকেই ছাড়া যাবে না। তাই উভয়সঙ্কটে এনআরসি কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ম্যালেরিয়া টেকনিক্যাল সুপারভাইজার ও স্বাস্থ্য দফতরের অনেক সার্ভেল্যান্স ওয়ার্কারকে এনআরসির কাজে লাগানো হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের জেলা ও গ্রামস্তরে কাজ করার লোক কম। স্বাস্থ্য মিশনের তরফে জানানো হয়, এনআরসির কাজ থেকে ছাড় পেলেই সব স্বাস্থ্যকর্মীকে সোজা নিজের নিজের দফতরে কাজে যোগ দিতে হবে।

তবে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত থাকলেও ইংল্যান্ড সফরে থাকা স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানান, জেই ও এইএস আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই কমছে। বর্তমানে রাজ্যের হাসপাতাল গুলিতে ১৪০ জন ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে ৪০ জন আইসিইউতে ভর্তি। ১০ জন ভেন্টিলেটরে আছেন। রাজ্য সরকার সকলের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। উল্লেখ্য, রাজ্যের ২৭টি জেলাতেই রোগ ছড়িয়েছে। তার মধ্যে কামরূপ মহানগর ও কামরূপ, যোরহাট, দরং, ডিব্রুগড়, লখিমপুর, নগাঁও জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এইএসে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে ১০৯২ জন হাসপাতালে ভর্তি।

স্বাস্থ্য কমিশনার তথা সচিব অনুরাগ গোয়েল সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির কর্তাদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। বিশেষ করে শূকর শাবকদের মধ্যে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় সে দিকে নজর রাখার জন্য পশুপালন দফতরকে বলা হয়েছে।

অসমে জেই ও এইএস ছড়ানোয় পড়শি রাজ্য ত্রিপুরাতেও সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। উত্তর ত্রিপুরা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগদীশ নমঃ জানিয়েছেন দামছরা এলাকায় ৮ বছরের দীপঙ্কর রুপিনির শরীরে জুনের শেষে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের জীবানুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তবে সে সুস্থ হয়ে উঠেছে। ওই এলাকায় জীবাণুনাশক ছড়ানো হয়েছে। পরীক্ষামূলক ভাবে বাসিন্দাদের রক্তপরীক্ষাও করা হচ্ছে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Child Encephalitis
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE