Advertisement
E-Paper

বিচ্ছিন্ন স্ত্রীর সঙ্গে ‘ব্যবসা নিয়ে অশান্তি’! দিল্লিতে ক্যাফে মালিকের ঝুলন্ত দেহ ফেরাচ্ছে অতুল-স্মৃতি

পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লিতে একটি ক্যাফে রয়েছে পুনীতের। তাঁর ব্যবসায়িক সঙ্গী ছিলেন স্ত্রী মণিকা জগদীশ পাহওয়া। বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল পুনীত এবং মণিকার।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:২১
দিল্লির ব্যবসায়ী পুনীত খুরানার (ডান দিকে) দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে। (বাঁ দিকে) পুনীতের স্ত্রী মণিকা। ছবি: সংগৃহীত।

দিল্লির ব্যবসায়ী পুনীত খুরানার (ডান দিকে) দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে। (বাঁ দিকে) পুনীতের স্ত্রী মণিকা। ছবি: সংগৃহীত।

ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল দিল্লির এক ক্যাফে মালিকের। মৃতের নাম পুনীত খুরানা। পুলিশের সন্দেহ আত্মঘাতী হয়েছেন ব্যবসায়ী। কিন্তু পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। আর অভিযোগ তুলেছেন পুনীতের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কল্যাণ বিহার এলাকায় বাড়ি থেকে ওই ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু তাঁর মৃত্যু ঘিরে রহস্য বাড়ছে। আর এই ঘটনাই উস্কে দিয়েছে বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অতুল সুভাষের ঘটনার স্মৃতি।

পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লিতে একটি ক্যাফে রয়েছে পুনীতের। তাঁর ব্যবসায়িক সঙ্গী ছিলেন স্ত্রী মণিকা জগদীশ পাহওয়া। বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল পুণীত এবং মণিকার। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, ব্যবসা নিয়ে পুনীতের সঙ্গে মণিকার অশান্তি হয়। পরিবারের অভিযোগ, ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে পুনীতের উপর মানসিক ভাবে চাপ সৃষ্টি করছিলেন মণিকা। তাঁর টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল।

পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পুনীতের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। স্ত্রীর সঙ্গে কী কথোপকথন হয়েছিল, ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও বিষয় জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মণিকাকেও তলব করেছে পুলিশ। আত্মহত্যা, খুন না কি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ঘটনা, সব দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

২০১৬ সালে বিয়ে হয়েছিল পুনীতের। পরিবারের দাবি, বিবাহবিচ্ছেদের মামলা নিয়ে খুব মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। আরও দাবি, মৃত্যুর আগে স্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে ফোনে কথা হয়। অভিযোগ, পুনীতের উপর মানসিক ভাবে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন মণিকা। বলেছিলেন, বিচ্ছিন্ন হলেও তাঁকে কোনও ভাবেই ব্যবসার অংশীদারি থেকে সরানো যাবে না।

দিল্লির ব্যবসায়ী পুনীতের ঘটনা বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনার স্মৃতি উস্কে দিচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বরে অতুলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে স্ত্রীকে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন। সুইসাইড নোটে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন, তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন অতুল।

Delhi Businessman Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy