দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
আবারও আদালতে ধাক্কা খেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অবরিন্দ কেজরীওয়াল। মঙ্গলবার দিল্লি হাই কোর্ট আপ সুপ্রিমোর আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। বুধবার তাঁর নতুন মামলাও খারিজ করে দিয়েছে দিল্লির অন্য এক আদালত। জেলে আইনজীবীদের সঙ্গে আইনি বৈঠকের সময়সীমা বৃদ্ধি করার আবেদন করেছিলেন কেজরী। সেই আবেদন শুনল না আদালত।
এই মামলার শুনানিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী বিবেক জৈন। তিনি আদালতকে জানান, কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে ৩৫ থেকে ৪০টি মামলা চলছে। সেই সব মামলা নিয়ে জেলে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতে অনেকটা সময়ের প্রয়োজন। তিনি মামলাগুলি বুঝে যথাযথ নির্দেশ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছেন না।
কেজরীওয়ালের আইনজীবী সওয়াল করার সময় টেনে আনেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘জেলে থাকাকালীন সঞ্জয় সপ্তাহে তিন বার করে তাঁর আইজীবীদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেতেন।’’ যদিও ইডি সেই আবেদনের বিরোধিতা করে। তাদের অভিযোগ, কেজরীওয়াল জেলে এই সব আইনি বৈঠকের অপব্যবহার করছেন। তিনি শুধু পরামর্শ দিয়েই থেমে থাকছেন না, সেই সব বৈঠকে অন্য বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে।
কেজরীওয়ালের পক্ষে আবেদন করা হয়েছিল, জেলে তাঁর আইনি বৈঠকের সংখ্যা দুই থেকে বাড়িয়ে পাঁচ করা হোক। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর রায় সংরক্ষিত রেখেছিল দিল্লি হাই কোর্ট। বুধবার কেজরীর সেই আবেদন খারিজ করে দেন রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক।
দিল্লির আবগারি মামলায় গত ২১ মার্চ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এর পরেই তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন আপ প্রধান। মঙ্গলবার রায়দানের সময় দিল্লি হাই কোর্ট জানিয়েছে, কেজরীর গ্রেফতারি বেআইনি ভাবে হয়নি। ইডি আদালতে জানিয়েছে, কেজরীর বিরুদ্ধে তাদের হাতে প্রমাণ রয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে আবগারি মামলার ‘মূলচক্রী’ হিসাবেও দেখিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পাশাপাশি, তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী যে আবেদন করেছেন, তা ‘ধোপে টিকছে না’ বলেই হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ। অন্য দিকে, কেজরীওয়াল দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy