অরবিন্দ কেজরীবাল। জয়ের পর। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কাজ করলে জয় আসে— দিল্লির জয় নিশ্চিত হওয়ার পর এমনটাই বলছেন আপ নেতারা। তবে শুধুই কি কাজ? না কি কৌশলেও বিজেপিকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল!
জল, বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা— নিরাপৎতা থেকে শুরু করে মেয়েদের বাসভাড়া— এ সব ফ্যাক্টর মানুষের মন জয়ে যে কাজ করেছে, তা নিয়ে অনেকেই নিঃসন্দেহ। কিন্তু কেজরীকে একই সঙ্গে লড়তে হয়েছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের মতো মহা-ওজনদার জুটির বিরুদ্ধে। লড়তে হয়েছে বিজেপির জাতীয়তাবাদী প্রচার এবং হিন্দু ভোট এককাট্টা করার কৌশলের বিরুদ্ধে।
এখানেই বিজেপির কৌশলের পিছনে না ছুটে, শেষ পর্যন্ত নিজের কৌশলেই খেলেছেন কেজরী। সিএএ থেকে শাহিন বাগের মতো ইস্যু, যা নিয়ে সাড়া দেশ তোলপাড় হয়েছে, তাতে ঢুকে পড়ায় ঝুঁকি আছে বুঝে পাশ কাটিয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: লাইভ আপডেট: প্রবল উচ্ছ্বাসের মধ্যে আপ-দফতরে কেজরীবাল
নিজের কাজের ফিরিস্তি যেমন প্রচারে সামনে এনেছেন, তেমনই ‘এত কাজের পরও ওঁরা আমায় আতঙ্কবাদী বলছেন’— এ ভাবেই পাল্টা সেন্টিমেন্ট তৈরি করেছেন কেজরীবাল। এবং বোঝা যাচ্ছে, তাতে তিনি সফলও।
প্রচারে আর একটা কৌশল নেন তিনি। অ-বিজেপি ভোটকে যতটা সম্ভব নিজের দিকে টেনে আনার কৌশল। শেষ পর্বের প্রচারে, সভায় সভায় বলেছেন, “ওঁরা বলছেন আমি আতঙ্কবাদী। আপনি যদি তা বিশ্বাস করেন, তবে আমাদের ভোট না দিয়ে বিজেপিকে দিন। আর যদি বিশ্বাস না করেন, তবে আপনি যে দলেরই হোন না কেন এ বার ঝাড়ুতে ভোট দিন”। লক্ষ্য ছিল, অবিজেপি ভোট যাতে কংগ্রেসে না গিয়ে, যতটা বেশি সম্ভব থাকে আপের দিকেই।
অর্থাৎ কাজ এবং কৌশল দু’দিক থেকে কেজরীবাল টেক্কা দিলেন বিজেপির মতো কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীকে।
(গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy