দিল্লিতে ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দূষণ। ছবি: পিটিআই।
শৈত্যপ্রবাহ চলছিলই। শুক্রবার তাপমাত্রা এক ধাক্কায় নেমে গিয়েছিল ১ ডিগ্রিতে। হাড়কাঁপানি এই ঠান্ডায় একেই জবুথবু হয়ে পড়েছে দিল্লি। তার সঙ্গে জুড়েছে কুয়াশা, বৃষ্টি এবং দূষণের দাপট। সব মিলিয়ে নাজেহাল অবস্থা রাজধানীর। তবে এরই মধ্যে স্বস্তির খবর, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, ২-৫ জানুয়ারি দিল্লি, হরিয়ানা-সহ উত্তর ভারতের বেশ কিছু অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী শনিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে দিল্লিতে। পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে একটা পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হয়েছে। তার জেরেই এই বৃষ্টি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এ দিন টুইট করে দিল্লির আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ‘আমাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব পড়ছে দিল্লি-সহ উত্তর-পশ্চিম ভারতে। পালমে ০.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আয়ানগর, লোধীরোড-সহ রাজধানীর বেশ কিছু অংশেও হালকা বৃষ্টি হয়েছে’।
শুক্রবারই রাজধানীতে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা ছিল গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সঙ্গে ছিল কুয়াশার দাপটও। রাজধানীর বহু জায়গায় দৃশ্যমানতা নেমে গিয়েছিল শূন্যে। শনিবার কুয়াশার দাপট না থাকলেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দূষণ। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ‘অত্যন্ত সঙ্কটজনক’ জায়গায় পৌঁছেছে।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড জানিয়েছে, রাজধানীর শনিবারের গড় একিউআই ৪৪৬। ৩৮টি জায়গায় বাতাসে দূষণের মাত্রা মাপা হয়েছে। তার মধ্যে ২৯টি জায়গাতেই একিউআই অত্যন্ত খারাপ। একিউআই যদি ২০১-৩০০-এর মধ্যে থাকে তখন ‘খারাপ’ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। ৩১০-৪০০-এর মধ্যে হলে ‘খুব খারাপ’ এবং ৪০১-৫০০-এর মধ্যে একিউআই থাকলে সেটা ‘অত্যন্ত খারাপ’ বলেই মনে করা হয়।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য ভারতের বহু অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এটা বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy