নিয়ম ভেঙে টেন্ডার দিয়ে ও সঠিক পরিকল্পনা না করে কাজ করার অভিযোগে বিএসএনএল অফিসারদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল দিল্লি হাই কোর্ট। হাই কোর্টের বিচারপতি জানিয়েছেন, তিনি এই অভিযোগের সত্যাসত্য বিচার করবেন না। বিএসএনএল আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা যাতে সঠিক পথে এগোয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সিবিআইও তাদের স্টেটাস রিপোর্টে সেই সুপারিশই করেছে।
হাই কোর্টে আবেদনে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানায়, ২০১১ সালে তিনটি জ়োনে জিএসএম টেলিফোন লাইনের জন্য টেন্ডার ডাকে বিএসএনএল। টেন্ডার পায় এক চিনা সংস্থার অধীনস্থ সংস্থা জ়েডটিই। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির অভিযোগ, জ়েডটিই-কে সুবিধে পাইয়ে দিতে ষড়যন্ত্র করেন বিএসএনএল ও জ়েডটিই-র কয়েক জন কর্তা। তাতে রাজকোষের ১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়। আদালতের নির্দেশে অভিযোগের তদন্তে নামে সিবিআই। কোর্টে পেশ করা স্টেটাস রিপোর্টে তারা জানায়, জ়েডটিই-র তরফে বিএসএনএলের আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু নিয়ম মেনে টেন্ডার না দেওয়া ও পরিকল্পনা না করে এগোনোর জন্য এক বিএসএনএল কর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কারণ, তাঁর পদক্ষেপের জন্য সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এই বিষয়ে সিবিআই কোনও পদক্ষেপ করছে না বলেও অভিযোগ করেছিল আবেদনকারী সংস্থাটি। কিন্তু হাই কোর্ট জানিয়েছে, সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্ট বাতিল করা বা এই বিষয়ে আরও নির্দেশ দেওয়ার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)