একটি ইলেকট্রনিক জিনিস অর্ডার করতে বিদেশি অ্যাপের শরণাপন্ন হয়েছিলেন দিল্লির এক যুবক। অর্ডার করার প্রায় চার বছর পর জিনিসটি হাতে পেয়েছিলেন ওই যুবক। এই ঘটনায় তিনি এতটাই বিস্মিত হয়েছিলেন যে, নিজের এই সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা তিনি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন। যদিও ২০২০ সালেই ওই অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
চিনের আলিবাবা শিল্পগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণাধীন ‘আলি এক্সপ্রেস’ ওয়েবসাইটটি এক সময় ভারতীয়দের একাংশের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল। চিনের জনপ্রিয় জিনিসগুলি সহজে হাতে পাওয়ার জন্য অনেকেই এই ওয়েবসাইটটির উপরে ভরসা করতেন। সেই রকমই দিল্লিবাসী ওই যুবক নিতিন আগরওয়ালও একটি চিনা ইলেকট্রনিক দ্রব্য অর্ডার করেছিলেন ২০১৫ সালে। তার পর দীর্ঘ চার মাস কেটে গেলেও কাঙ্খিত জিনিসটি হাতে পাননি তিনি। ভেবেছিলেন, টাকা জলে গিয়েছে। জিনিসটি আর কোনও দিনই হাতে পাবেন না।
আরও পড়ুন:
ওই যুবককে অবাক করে দিয়ে ২০১৯ সালে জিনিসটি হাতে পান ওই যুবক। সে কথাই সমাজমাধ্যমে উল্লেখ করেছেন ওই যুবক। তাঁর অভিজ্ঞতার কথা পড়ে নেটাগরিকদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, তাঁরাও ওই ওয়েবসাইটে জিনিস অর্ডার করেছিলেন। কেউ কেউ আবার টিপ্পনী দিয়ে বলেন, “আমরাও তবে আশা করতে পারি যে, আমাদের জিনিসগুলোও এ বার পৌঁছে দেওয়া হবে।”
২০২০ সালে অবশ্য নিরাপত্তাজনিত কারণে আলি এক্সপ্রেস-সহ মোট ৫৮টি চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ করে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পর থেকে এই ওয়েবসাইট থেকে আর চিনা দ্রব্য কিনতে পারেন না ভারতীয়রা। তবে তৃতীয় কোনও পক্ষের মাধ্যমে কিংবা ভিপিএন ব্যবহার করে এখনও অনেকে ওই ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ থেকে জিনিস কেনেন বলে খবর।