পণের দাবিতে অতিষ্ঠ হয়ে শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী হলেন মডেল প্রিয়ঙ্কা কপূর। অভিযোগ, স্বামীর লাগাতার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী হয়েচেন ২৫ বছরের মডেল। শনিবার সকালে দক্ষিণ দিল্লির ডিফেন্স কলোনির তালা বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে প্রিয়ঙ্কাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। প্রিয়াঙ্কার স্বামী নিতিন চাওলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মৃতার পরিবার জানিয়েছে, হোলির রাত থেকেই প্রিয়ঙ্কাকে ফোনে পাচ্ছিলেন না তাঁর মা। সকালে প্রিয়ঙ্কার বাড়িতে এসে তাঁরা দেখেন, ফ্ল্যাটের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। অনেক বার ডাকাডাকির পরও ঘরের দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় পরিবারের লোকজনের। তখনই পুলিশে খবর দেয় প্রিয়ঙ্কার মা। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে প্রিয়ঙ্কার দেহ উদ্ধার করে। এর পর তাঁর স্বামীকে ফ্ল্যাটে ডাকে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, রাতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে প্রিয়ঙ্কা। তাঁর ঘর থেকে দু’পাতার একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সুইসাইড নোটে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, স্বামীর হাতে আর মার খেতে পারছিলেন না তিনি।
পরিবার সূত্রে খবর, এক মাস আগে নিতিন চাওলার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল প্রিয়ঙ্কার। প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্সের পর প্রিয়াঙ্কাকে সঙ্গে প্রেম শুরু পেশায় ব্যবসায়ী নিতিনের। এর পর বিয়ে। গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা ডিফেন্স কলোনিতে নতুন ফ্ল্যাটে এসে ওঠেন। প্রিয়ঙ্কার বোন ডিম্পির দাবি, “বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য স্ত্রীর উপর চাপ দিতে থাকেন নিতিন। পাশাপাশি চলত শারীরিক নির্যাতনও। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই সম্ভবত এমনটা করতে বাধ্য হয়েছে দিদি।”
আরও পড়ুন...