ঝাড়খণ্ড এবং দিল্লি থেকে বুধবারই দুই সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই গ্রেফতারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আবার দিল্লি থেকে আরও তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হল। ফলে এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বে়ড়ে হল পাঁচ। দেশের কয়েকটি রাজ্যে জঙ্গি নেটওয়ার্ক সক্রিয় হচ্ছে, গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। সেই অভিযান চলাকালীন বুধবার ঝাড়খণ্ড এবং দিল্লি থেকে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়।
দিল্লি এবং ঝাড়খণ্ড ছাড়াও তল্লাশি অভিযান চলছে মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্দেহভাজন তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা থেকে। বুধবার দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল দিল্লি থেকে অফতাব এবং রাঁচী থেকে আশার দানিশ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের জেরা করে আরও তিন সন্দেহভাজনের হদিস পায় পুলিশ। তার পরই মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল। তার পরই তিন জনকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই পাঁচ জন পরস্পরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা থেকে যে তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তাঁদের কাছ থেকে আইইডি এবং অন্য বিস্ফোরক এবং অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই দলটিকে পরিচালনা করছিলেন আশরফ দানিশ। তাঁর সঙ্গে পাকিস্তানের ‘হ্যান্ডলার’দের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। বিভিন্ন সমাজমাধ্যম অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ভারতে যুব সম্প্রদায়ের মগজধোলাই করে জঙ্গি কার্যকলাপে উদ্বুদ্ধ করার কাজ করতেন ধৃত পাঁচ জন। শুধু তা-ই নয়, জঙ্গিদলে নিয়োগের দায়িত্বও ছিল ধৃতদের উপর। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, দিল্লি এবং এনসিআর-সহ দেশের নানা জায়গায় নাশকতার ছক কষা হয়েছিল। পুলিশের সন্দেহ, ধৃতেরা একিউআইএস (আল-কায়দা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট) মডিউলের সঙ্গে জড়িত।