Advertisement
E-Paper

তদন্তকারীদেরও কখনও কখনও তদন্তের আওতায় আনা উচিত! সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি সুপ্রিম কোর্টের

ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া, অবৈধ ভাবে নথি বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগ উঠেছিল সিবিআইয়ের দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:৫৩
দুই সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট।

দুই সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও কখনও কখনও তদন্ত হওয়া উচিত। এতে সার্বিক ব্যবস্থার উপর সাধারণ মানুষের আস্থা অক্ষুণ্ণ থাকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি দিয়ে বুধবার এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

ঘটনাটি দুই দশকেরও বেশি পুরনো। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া, অবৈধ ভাবে নথি বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগ উঠেছিল সিবিআইয়ের দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের আবেদন জানিয়েছিলেন এক ব্যবসায়ী-সহ দু’জন। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ছিলেন সিবিআইয়ের তৎকালীন যুগ্ম অধিকর্তা এবং অন্য জন ছিলেন ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক। দিল্লি হাই কোর্ট আগেই তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছিল।

এ বার সুপ্রিম কোর্টও সেই নির্দেশই বহাল রাখল। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি পঙ্কজ মিঠল এবং বিচারপতি পিবি ভারালের বেঞ্চ জানিয়েছে, কখনও কখনও তদন্তকারীদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা উচিত। এই পদক্ষেপের সময় এসে গিয়েছে। বস্তুত, ২০২০ সালের এপ্রিলে কোনও বাজেয়াপ্তের মেমো তৈরি না করেই জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগ উঠেছিল সিবিআইয়ের এক তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে। ওই মেমো তৈরি করা হয়েছিল পরের দিন। পরে হাই কোর্টের একক বেঞ্চ জানিয়েছিল, এই ধরনের ঘটনা সিবিআইয়ের কার্যক্রমবিধির পরিপন্থী।

অন্য একটি ঘটনায় দেখা যায়, একটি মামলায় এক অভিযুক্ত জামিনে থাকার পরেও সিবিআই তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল। ওই ঘটনায় জবরদস্তি, অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া এবং ক্ষমতার অপব্যবহার-সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল সিবিআইয়ের তৎকালীন ওই যুগ্ম অধিকর্তার বিরুদ্ধে। দিল্লি হাই কোর্টের একক বেঞ্চ জানিয়েছিল, এই ধরনের আচরণকে শুধুমাত্র প্রক্রিয়াগত ত্রুটি বলে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তাই ওই দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল একক বেঞ্চ। পরে ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন সিবিআই আধিকারিকেরা। ২০১৯ সালে তাঁদের আবেদন খারিজ হয়ে গেলে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু শীর্ষ আদালতও হাই কোর্টের নির্দেশই বহাল রেখেছে। সুপ্রিম কোর্ট এ-ও জানিয়েছে, দিল্লি পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার বা তাঁর থেকে উচ্চতর পদমর্যাদার কোনও আধিকারিককে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করাতে হবে।

Supreme Court CBI
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy