নিউজ়ক্লিকের দফতর থেকে বাজেয়াপ্ত করা জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে আসছে পুলিশ। ছবি: পিটিআই।
ভারতের মানচিত্র থেকে কাশ্মীরকে বাদ দেওয়া এবং অরুণাচল প্রদেশকে বিতর্কিত অঞ্চল হিসেবে দেখানো নিয়ে একটি ই-মেল চালাচালিতে নিউজ়ক্লিক পোর্টালের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ যুক্ত ছিলেন বলে দাবি দিল্লি পুলিশের। ধৃত প্রবীর ও ওই পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত অমিত চক্রবর্তীকে পুলিশি আপত্তি সত্ত্বেও এফআইআরের প্রতিলিপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির অতিরিক্ত দায়রা বিচারক হরদীপ কউর।
প্রবীর ও অমিতকে গত মঙ্গলবার গ্রেফতারের পরে তাঁদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-তে মামলা করে অভিযোগ তোলা হয়েছিল যে, চিনপন্থী প্রচার চালানোয় যুক্ত এই পোর্টালটি। ধৃতদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে জমা দেওয়া আবেদনে পুলিশ দাবি করে, আমেরিকান ধনকুবের ও তাঁর শাংহাইয়ের সংস্থার কয়েক জন কর্মীর সঙ্গে এই সংক্রান্ত ই-মেল চালাচালি করেছিলেন প্রবীর। ধৃত দু’জনেরই ৭ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে। মঙ্গলবারের পরে আজও সাংবাদিক অভিসার শর্মাকে দিল্লি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
পুলিশের আরও অভিযোগ, বিদেশ থেকে আসা টাকার জোরে কৃষক বিক্ষোভে ইন্ধন দিয়ে ভারতে অত্যাবশ্যক পণ্যের সরবরাহ ব্যাহত করার চক্রান্তে জড়িত ছিলেন ধৃতেরা। এমনকি এক সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ২০১৯-এর নির্বাচনে কারচুপির ষড়যন্ত্রেও প্রবীরের জড়িত থাকার কথা জানা গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
আজকের শুনানিতে প্রবীরের আইনজীবী বলেন, এফআইআরের কপি পাওয়াটা অভিযুক্তের অধিকার, যা না দেওয়ার কোনও যুক্তি নেই। গ্রেফতারির কারণ লিখিত আকারে জানানো হলে সেটি সংবিধানিক রক্ষাকবচের কাজ করে। বিশেষ সরকারি আইনজীবী অতুল শ্রীবাস্তব এই আর্জির বিরোধিতা করে বলেন, অভিযুক্তকে এ ক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হতে হবে এবং তিনি একটি কমিটি গঠন করবেন। এ ক্ষেত্রে সরাসরি কোর্টে না এসে ধাপে ধাপে এগোনো উচিত। গ্রেফতারির কারণ ইতিমধ্যেই ধৃতদের জানানো হয়েছে বলে জানিয়ে বিশেষ সরকারি আইনজীবীর দাবি, বিদেশি অনুদানের নামে ১১৫ কোটি টাকা পেয়েছিলেন অভিযুক্তেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy