রাষ্ট্রপুঞ্জের বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে দেশে সাধারণ নির্বাচন হবে বলে ফের ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ভারত-সহ বহু দেশ। সে কথা মাথায় রেখেই এ দিন ইউনূস জানান, তাঁর প্রশাসন দেশে যে সংস্কারের কাজ চালাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকবে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীদের জয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়ায় আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের নির্বাচন নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। তবে বাংলাদেশে ২০২৬ সালে জাতীয় সংসদের ভোট রয়েছে। ভারত আশা করে, অবাধ সুষ্ঠু আস্থাব্যঞ্জক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে মসৃণ, শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক বদল আসুক।’’
সাধারণ সভায় বক্তৃতার আগে ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ইউনূস। তাঁর বক্তব্য, ভারতের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতার কাজ অর্থাৎ ‘সার্ক’ বন্ধ রয়েছে। আজ তার জবাবে পাকিস্তানের নাম না করে নয়াদিল্লি জানিয়েছে, সেই দেশের জন্যই সার্ক বন্ধ রয়েছে। ভারত আঞ্চলিক সংযোগের প্রশ্নে খুবই উৎসাহী। জয়সওয়াল বলেন, "আঞ্চলিক সংযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান খুব স্পষ্ট। আমরা চাই সংযোগ বাড়ুক। সার্ক-এর ক্ষেত্রে সহযোগিতা একটি দেশের জন্য আটকে রয়েছে। আপনারা সবাই জানেন, সেই দেশ কোনটি!’’
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নিয়ে জয়সওয়াল বলেছেন, ‘‘আমরা এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান বারবার স্পষ্ট করেছি। অনুরোধ করবসেগুলিকে দেখতে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)