বন্দুক হাতে মহমম্দ শাহরুখ। ছবি: এএফপি।
অগ্নিগর্ভ দিল্লিতে পিস্তল হাতে পুলিশের দিকে তেড়ে আসা সেই যুবক, মহম্মদ শাহরুখকে অবশেষে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। শেষমেশ মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের বরেলী থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আদতে সীলমপুরের বাসিন্দা শাহরুখ। এর আগে পুলিশের খাতায় কখনও তাঁর নাম ওঠেনি। তবে মাদক পাচারের অভিযোগে উঠেছিল তাঁর বাবার বিরুদ্ধে, এই মুহূর্তে যিনি জামিনে মুক্ত।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকাল থেকে তেতে ওঠে রাজধানীর উত্তর-পূর্ব অংশ। পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইঁট ও গুলিবৃষ্টি চলতে থাকে। সেইসময়ই জাফরাবাদ-মৌজপুর এলাকায় পিস্তল হাতে এক পুলিশকর্মীর দিকে তেড়ে যান মেরুন রঙের টি-শার্ট পরা ওই যুবক।পুলিশের সামনেই আট রাউন্ড গুলি ছোড়েন তিনি। পরে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেন।
আরও পড়ুন: বসন্তের শুরুতেই সপ্তাহ জুড়ে চলবে মেঘ-বৃষ্টির খেলা
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, আতঙ্ক বেঙ্গালুরু-হায়দরাবাদে
সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনার সময়কার একটি ভিডিয়ো সামনে আসে। তাতে দেখা যায়, ইঁটবৃষ্টি চলাকালীন রাস্তায় নেমেছেন এক পুলিশকর্মী। আচমকাই পাঁচ-ছ’জনের একটি দল তাঁর দিকে তেড়ে যায়। তাঁদের মধ্যে পিস্তল হাতে এগিয়ে আসেন শাহরুথ। প্রথমে শূন্যে গুলি ছোড়েন তিনি। তার পর ওই পুলিশকর্মীর দিকে পিস্তল তাক করেন। দীপক দহিয়া নামের ওই পুলিশকর্মী হাত তুলে নিজেকে নিরস্ত্র বলে দাবি করেন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশে সরিয়ে দেন শাহরুখ। তার পর ফের এক বার গুলি ছোড়েন।
ভিডিয়োটি সামনে আসতেই হুলস্থুল পড়ে যায় চারিদিকে। ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। তাঁর পরিচয় নিয়েও ধন্দ শুরু হয়। প্রথমে জানা যায় তাঁর নাম মহম্মদ শাহরুখ। পরে আবার শোনা যায়, তাঁর আসল নাম অনুরাগ মিশ্র। যদিও পরে জানা যায়, অনুরাগ মিশ্র পরিচয়টি ভুয়ো। সেই থেকে শাহরুখের খোঁজে তল্লাশি চলছিল। গত সপ্তাহেই সপ্তাহেই সন্দেহভাজন এক জনকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।তার প্রায় এক সপ্তাহ পর শাহরুখের নাগাল পেল পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy