ফরাক্কা বাঁধ থাকলে বন্যা সমস্যা কাটবে না বিহারে— এমনই মন্তব্য করলেন নীতীশ কুমার। একইসঙ্গে তিনি জানালেন, ফরাক্কা থেকে বক্সার পর্যন্ত গঙ্গায় কতটা পলি জমেছে তা পরীক্ষা করে ফরাক্কা বাঁধের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিন্তাভাবনা করারও আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
আজ পটনা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দফায় দফায় সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। পরে হেলিকপ্টারে পটনা ও সংলগ্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি দেখেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘যত দিন ফরাক্কায় বাঁধ থাকবে, তত দিন বিহারে বন্যা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। ফরাক্কা বাঁধ সরানোই এক মাত্র উপায়।’’ নীতীশ আরও জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশের বানসাগর বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় ডেহরিতে জল ঢুকেছে। পটনায় বিপদসীমা ছাড়িয়েছে গঙ্গা। নীচু এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মোতায়েন রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তৈরি হয়েছে আশ্রয় শিবির।
এ দিকে ঝাড়খণ্ড প্রশাসন সূত্রে খবর, মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে এ দিন ৫০ হাজার একর ফুট জল ছাড়া হয়েছে। ডিভিসির জনসংযোগ আধিকারিক বিজয় কুমার জানিয়েছেন, মাইথনের থেকেও বেশি জল ছাড়া হচ্ছে পাঞ্চেত থেকে। পাঞ্চেতের জলস্তরের উচ্চতা এখন ৪২২ ফুট। ওই বাঁধের সর্বাধিক উচ্চতা ৪২৫ ফুট। এ দিন মাইথনে জলস্তরের উচ্চতা ছিল ৪৮০ ফুট। ওই বাঁধের উচ্চতা ৪৯৫ ফুট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy