শপথ নিয়েই বদলা নয়, বদলের কথা মুখ্যমন্ত্রী ফডণবীসের মুখে, বাকি মন্ত্রীদের শপথ ডিসেম্বরেই

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েই ‘বদলা নয়, বদলের’ বার্তা দিলেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস। তাঁর নেতৃত্বাধীন ‘মহাজুটি’ সরকারের ভবিষ্যতের রূপরেখাও স্পষ্ট করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেল শপথগ্রহণের পর সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই তিনি বলেন, “বদলের রাজনীতি হলেও প্রতিহিংসার রাজনীতি হবে না।” ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটের পর থেকে একাধিক রাজনৈতিক ভাঙাগড়ার সাক্ষী মহারাষ্ট্র। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ফডণবীস বলেন, “গত পাঁচ বছরে আমরা বহু বদল দেখেছি। আমাদের আশা ভবিষ্যতে তেমন বড় কোনও ঝাঁকুনি হবে না।” অনেকেই মনে করছেন, এই মন্তব্য করে ফডণবীস ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন যে, শাসকজোটের তিন শরিক দলই ঐক্যবদ্ধ থাকবে।

ফডণবীস জানিয়েছেন, আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় তিন দিনের বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে। আগামী ৯ ডিসেম্বর নতুন স্পিকার নির্বাচিত হবেন। সদ্য শপথ নেওয়া মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, চলতি মাসের শেষে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের আগেই অন্য মন্ত্রীরা শপথ নেবেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী ফডণবীস, দুই উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং অজিত পওয়ার শপথ নিলেও অন্য মন্ত্রীরা এখনও শপথ নেননি। একটি সূত্রের খবর, শিন্ডের শিবসেনা স্বরাষ্ট্র দফতর তাদের দেওয়ার দাবি তুলেছে। ওই সূত্রের দাবি, বিজেপি শিন্ডেসেনার এই প্রস্তাবে সম্মত নয়। আগের মহাজুটি সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী ফডণবীস জানিয়েছেন, কিছু ব্যক্তির ভূমিকা বদলে গেলেও সরকারের অভিমুখ একই থাকবে।

২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় কংগ্রেস, শিবসেনা (উদ্ধব), এনসিপি (শরদ)-র জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ি’ ৫০টি আসনও পায়নি। এই পরিস্থিতিতে নতুন বিধানসভায় তাদের কোনও বিধায়ক বিরোধী দলনেতার মর্যাদা পাবেন কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই বিষয়ে ফডণবীস জানান, যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন রাজ্যপাল। এ ক্ষেত্রে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করতে বসে ভোটপণ্ডিতদের একাংশ জানিয়েছিলেন, ‘লাডকি বহিন যোজনা’র মাধ্যমে মহিলাদের হাতে নগদ টাকা তুলে দেওয়ার প্রকল্পই সাফল্য এনে দিয়েছে ‘মহাজুটি’কে। বর্তমানে এই প্রকল্পে যোগ্য উপভোক্তারা মাসে ১৫০০ টাকা পান। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মহারাষ্ট্রের এই ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’ মহিলারা এ বার মাসে ২১০০ টাকা করে পাবেন বলে জানিয়েছেন ফডণবীস।