Advertisement
E-Paper

নথি হাতেও অথৈ জলে খসড়াছুটরা

প্রতুল পুরকায়স্থরা কবে থেকে যে শিলচরে বসবাস করছেন, তা মনে করাই কঠিন। ১৯৩৮ সালে দাদুর কেনা জমির দলিল ঘরের আলমারিতে। বাবা সরকারি চাকরি করতেন, রয়েছে বহু কাগজ।

উত্তম সাহা

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:০৭

প্রতুল পুরকায়স্থরা কবে থেকে যে শিলচরে বসবাস করছেন, তা মনে করাই কঠিন। ১৯৩৮ সালে দাদুর কেনা জমির দলিল ঘরের আলমারিতে। বাবা সরকারি চাকরি করতেন, রয়েছে বহু কাগজ। কিন্তু এনআরসি-র জন্য আবেদনের সময়ে সে সব নথি না নিয়ে ১৯৭১-এর ভোটার তালিকায় বাবার নাম খুঁজে পাওয়ায় সেটিই জুড়ে দেন। ভেবেছিলেন, দাদুর নাম মিলল কি না, কে আর দেখবে!

স্বামীহারা মিনতি রায় দুর্ভোগে পড়েছেন অজ্ঞতার জন্য। স্বামীর কোনও কাগজ হাতে নেই। তাঁর বাবার অবশ্য সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে। কিন্তু দালালের পরামর্শে মিনতি রায় সন্তানদের জন্য স্বামীর ‘জাল’ স্কুল সার্টিফিকেট জমা করেন। সেটি বাতিল হয়েছে। মাতামহের কাগজেও যে নাগরিকত্ব প্রমাণের সুযোগ রয়েছে, জানতেই না মিনতি দেবী। প্রতুল, মিনতিরা যে ভারতীয়, তা প্রমাণে হাতের এই অব্যবহৃত নথিই যথেষ্ট। কিন্তু খসড়াছুটদের

পুনরাবেদনে সুপ্রিম কোর্ট শর্ত দিয়েছে, লিগ্যাসি বদল চলবে না। যে নথিপত্র জমা দিয়ে প্রথম আবেদন করা হয়েছিল, পুনরাবেদনের ক্ষেত্রে তা বদল করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্ট দু’দফায় পুনরাবেদনের সময় বৃদ্ধি করেছে। সম্পর্ক প্রমাণে ২০১৫-র পরের নথিও গ্রহণযোগ্য হবে বলে বুধবার রায় দিয়েছে। তাতে বহু মানুষের সুবিধে হয়েছে। কিন্তু লিগ্যাসি পরিবর্তনে আপত্তির ব্যাপারে সর্বোচ্চ আদালত নীরব।

আইনজীবীরা অবশ্য অভয় দিচ্ছেন, এনআরসি প্রকাশের পর তাঁদের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে মামলার সুযোগ রয়েছে। সেখানে সমস্ত নথি দেখানোর সুযোগ মিলবে। কিন্তু লক্ষাধিক মামলা ট্রাইবুনালে ঝুলে রয়েছে। বিচারের সময় কই!

NRC Assam Assam NRC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy