Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

রাজ্যের মত মানবে দিসপুর, আশ্বাস সর্বার

রাজ্য ও রাজ্যবাসীর ক্ষতি হয়, তেমন কোনও সিদ্ধান্ত সমর্থন করবে না রাজ্য সরকার। নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী নিয়ে এমনই বললেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:৩৮
Share: Save:

রাজ্য ও রাজ্যবাসীর ক্ষতি হয়, তেমন কোনও সিদ্ধান্ত সমর্থন করবে না রাজ্য সরকার। নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী নিয়ে এমনই বললেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।

দলের ‘দ্বিতীয় স্তম্ভ’ তথা অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা যখন সরাসরি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিয়ে অসমীয়া জাতি বাঁচানোর কথা বলছেন, তখনই অনেকটা উল্টো সুর মুখ্যমন্ত্রীর মুখে।

নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিলে তা অসম চুক্তি ভঙ্গের সামিল হবে। তাই সংশোধনী বিলের আপত্তিতে সরব জোট শরিক অসম গণ পরিষদ, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ও আসু-সহ বিভিন্ন সংগঠন। এক সময় বাংলাদেশি বিরোধী আন্দোলনের নেতা ও আইএমডিটি আইন বাতিলের প্রধান হোতা সর্বানন্দ নিজেও এ নিয়ে চাপে। কারণ, দলের জন্য নিজের অবস্থান থেকে তাঁকে সরে আসতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিল মন থেকে মানতে পারছেন না আঁচ পাওয়ার পরে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত গুয়াহাটি এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু মীরা বরঠাকুর-সহ কয়েক জন বিজেপি নেতার বক্তব্য, জনমতের বিপক্ষে গিয়ে ওই সংশোধনী ভবিষ্যতে দল ও সরকারকে বিপদে ফেলতে পারে। কিন্তু হিমন্তবিশ্ব শর্মা ও মন্ত্রিসভার সদস্য রঞ্জিৎ দত্ত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করায় রাজ্যে তীব্র বিতর্ক চলছে। অগপ, আসু, কংগ্রেস, এআইইউডিএফের বক্তব্য, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান অসমে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ডেকে আনতে পারে। কিন্তু এত দিন মুখ খুলছিলেন না সর্বানন্দ সোনোয়াল। সর্বার নীরবতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ।

অবশেষে এ দিন মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। অবশ্য সরাসরি কারও বিরুদ্ধে কথা না বলে পরোক্ষে নিজের মনোভাব জানান তিনি। সর্বানন্দ বলেন, ‘‘আমাদের সরকার অসম ও অসমবাসীর ভাষা, সংস্কৃতি, স্বাতন্ত্র্য, জমি ও সম্পদ রক্ষায় বদ্ধপরিকর। সকলকে অনুরোধ করছি, রাজ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন ধর্ম ও ভাষার মানুষের মধ্যে যে ভ্রাতৃত্ববোধ রয়েছে- তা নষ্ট করবেন না। আমাদের সরকার সম্প্রীতি বজায় রাখতে দৃঢপ্রতিজ্ঞ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sarbananda sonowal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE