Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
National News

তিন তালাক নিয়ে রাজনীতি নয়, মুসলিম সমাজকে আর্জি মোদীর

তিন তালাক নিয়ে কোনও রাজনীতি করবেন না, বরং এগিয়ে এসে এর একটা সমাধান বের করুন। শনিবার এক অনুষ্ঠানে মুসলিম সমাজের কাছে এমনই আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৭ ১৫:৫৫
Share: Save:

তিন তালাক নিয়ে কোনও রাজনীতি করবেন না, বরং এগিয়ে এসে এর একটা সমাধান বের করুন। শনিবার এক অনুষ্ঠানে মুসলিম সমাজের কাছে এমনই আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “মুসলিম নারীদের এই প্রথা থেকে মুক্তি দিতে সমাজের বুদ্ধিজীবীদের এগিয়ে আসতে হবে। তিন তালাক প্রথা নিয়ে মুসলিম নারীদের লড়াইয়ে সামিল হতে হবে।”

তিন তালাক প্রথা বন্ধের জন্য এর আগেও সরব হয়েছিলেন মোদী। ভুবনেশ্বরে গিয়ে এক দলীয় বৈঠকেও তিন তালাক প্রসঙ্গ তুলেছিলেন মোদী। সেখানে তিনি জানান, মুসলিম মহিলারা যাতে কোনও ভাবেই শোষিত না হন সে দিকটা দেখতে হবে। তবে মুসলিম সমাজের সঙ্গে কোনও রকম বিরোধে না গিয়ে এই সমস্যার সমাধান কী ভাবে করা যায় সেই চেষ্টাই করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: বিরল যক্ষ্মার ওষুধে টান, দীর্ঘ হয়রানি রোগীদের

তিন তালাক প্রথা নিয়ে বহু দিন ধরেই বিতর্ক চলছে। সুপ্রিম কোর্টে যখন মামলাটি ওঠে এই প্রথার বিরোধিতা করেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রের মতে, ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশে তিন তালাকের মতো বৈষম্যমূলক রীতির অস্তিত্ব থাকতে পারে না। গত বছরে তিন তালাক নিষিদ্ধ করা নিয়ে একটি আবেদনপত্রে সই করেন প্রায় ৫০ হাজার ভারতীয়। যাঁদের মধ্যে মহিলা ও পুরুষ উভয়েই ছিলেন। এ নিয়ে আদালতে একাধিক আবেদনও জমা পড়ে। এই সব আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতে পেশ করা ২৯ পাতার হলফনামায় কেন্দ্রীয় বিচার ও আইনমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, তিন তালাক পদ্ধতি দেশের সংবিধান-বিরুদ্ধ। তাই অবিলম্বে এই বিষয়টি নিয়ে আদালতে আলাদা করে বিচার হওয়া উচিত। তবে শুধু তিন তালাকই নয়। নিকাহ হালাল এবং বহুবিবাহ রীতি নিয়েও আপত্তি তুলেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল, এই সব ক’টি পদ্ধতিতে ভারতীয় মহিলাদের অধিকার খর্ব করা হয়। অথচ দেশের সংবিধানের ১৪ ও ১৫ নম্বর ধারায় প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার রক্ষার কথা বলা আছে। সে দিক দিয়ে দেখতে গেলে তিন তালাকের সঙ্গে দেশের সাংবিধানিক ভাবমূর্তি একেবারেই খাপ খায় না।

সম্প্রতি অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এক বিবৃতিতে জানায়, কোনও বৈধ কারণ ছাড়া তিন তালাকের মান্যতা দেওয়া হবে না। যাঁরা শরিয়া আইন লঙ্ঘন করে তালাক দেবেন, তাঁদের সামাজিক ভাবে বয়কট করা হবে। বোর্ড জানায়, তিন তালাক নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা আছে। এ বিষয়ে তারা একটা আচরণবিধি চালু করবে। তবে তিন তালাক নিয়ে তারা বাইরের কোনও হস্তক্ষেপে চায় না বলেই জানিয়েছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড।

তিন তালাক বৈধ না অবৈধ, এ বিষয়ে আগামী মে মাসে শুনানি শুরু হবে সুপ্রিম কোর্টে। পাঁচ জন বিচারপতির এক ডিভিশন বেঞ্চের অধীনে এই মামলার শুনানি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Triple Talaq Modi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE