অদূর ভবিষ্যতে রাজ্যের ছয় জনগোষ্ঠীর তফসিল উপজাতিভুক্ত হওয়ার সম্ভবনা নেই। কংগ্রেসের আমলে ঝুলে থাকা ওই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘসূত্রতার রাস্তায় হেঁটেছে বিজেপি-অগপ-বিপিএফ জোট সরকারও।
লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যসভা ভোটের আগেও চা গোষ্ঠী, চুতীয়া, মটক, মরাণ, আহোম ও কোচ রাজবংশী জনগোষ্ঠীকে তফসিলভুক্ত উপজাতি করা হবে বলে ভরসা দিয়ে এসেছে বিজেপি। কিন্তু কেন্দ্রীয় উপজাতি উন্নয়নমন্ত্রী জুয়েল ওরাম শিলংয়ে জানান, সিংলা কমিটির রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি। তাই কবে এ নিয়ে পরবর্তী বৈঠক হবে তা নিশ্চিত নয়। তিনি জানান, ছ’টি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিশেষ করে চা গোষ্ঠীকে উপজাতি হিসেবে চিহ্নিত করায় সমস্যা বেশি। কারণ, চা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত বেশিরভাগ মানুষ বাইরের রাজ্য থেকে আসা। ওঁরাও, মুন্ডা, সাহু, ঘাটোয়ার-সহ বিভিন্ন পদবীর মানুষ নিজেদের আদি রাজ্যে বিভিন্ন ধারার তফসিলভুক্ত। তাই চা গোষ্ঠী বলে কোনও স্বতন্ত্র উপজাতি গোষ্ঠী তৈরিতে আপত্তি জানায় আরজিআই।
চলতি বছর ১ মার্চ বিষয়টি নিয়ে মহেশ কুমার সিংলা কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছিল। তাদের প্রথমে রিপোর্ট দিতে তিন মাস সময় দেওয়া হয়। তা পারেনি কমিটি। সময় বাড়িয়ে অক্টোবর করা হলেও জমা হয়নি রিপোর্ট। মন্ত্রীর আশা, সিংলা কমিটি ডিসেম্বরে রিপোর্ট দিলে এ নিয়ে কেন্দ্র বৈঠক করতে পারে।
রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে উপজাতি হওয়ার দাবিতে আন্দোলন চালানো জনগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে মধ্যস্থতা করার জন্য এডিজি পল্লব ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব দিয়েছে। সরকারের বক্তব্য, এ নিয়ে আঁটঘাঁট বেঁধে এগোতে হবে।
এত দিন ছ’টি জনগোষ্ঠীকে নতুন করে উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিরোধিতা করে বিপিএফ এ দিন উল্টো সুরে গাইল। আজ গুয়াহাটিতে ইউনাইটেড বড়ো পিপল্স অর্গানাইজেশনের তৃতীয় বার্ষিক সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাজির বিটিসি প্রধান হাগ্রামা মহিলারি বলেন, ‘‘ছয় জনগোষ্ঠীর উপজাতিকরণ হবেই।’’ তিনি আরও জানান, শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ারও বিরোধিতা করবে না বিপিএফ। এ সব ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy