বঙ্গোপসাগরের আকাশে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পেরেছে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছবি: টুইটার
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি স্বল্পপাল্লার ‘ভূমি থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করল ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও)। সঙ্গে ছিলেন নৌবাহিনীর গবেষকরাও। মঙ্গলবার ওড়িশার চাঁদিপুরের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্র (ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ বা আইটিআর) থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি বঙ্গোপসাগরের আকাশে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সমর্থ হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সাফল্যের জন্য ডিআরডিও এবং নৌসেনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌসেনাকে আরও শক্তিশালী করবে।’’ সামরিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করতে পারে এই সাফল্য। এর আগে জুন মাসেও এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়েছিল।
মঙ্গলবার নৌসেনার জাহাজ থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি উড়ন্ত লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত নিশানায় আঘাত করেছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। উৎক্ষেপণের আগে ক্ষেপণাস্ত্রের স্বয়ংক্রিয় ‘ইলেকট্রো-অপটিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম’ সেই উড়ন্ত লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করতেও সক্ষম হয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্বল্পপাল্লার এই ‘ভূমি থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্রকে সামরিক পরিভাষায় ‘ভার্টিকাল লঞ্চ শর্ট রেঞ্জ সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল’ (ভিএল-এসআরএসএএম) বলা হয়। শত্রুপক্ষের বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হানা প্রতিরোধে সক্ষম এই দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের নকশা তৈরি, নির্মাণ, পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে ডিআরডিওর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে আরও কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। যার মধ্যে রয়েছেন, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন ল্যাবরেটরি (ডিআরডিএল), হায়দরাবাদের রিসার্চ সেন্টার ইমারত (আরসিআই) এবং পুণের আর অ্যান্ড ডি ইঞ্জিনিয়ার্সের মতো একাধিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy