ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র— ফাইল চিত্র।
ভারত-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের নয়া সংস্করণের পরীক্ষা সফল হল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল ১০ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ব্রহ্মসের ভূমিতে আঘাত হানতে সক্ষম সংস্করণটি উৎক্ষেপণ করা হয়। সেটি নির্ভুল লক্ষ্যভেদে সমর্থ হয়েছে।
শব্দের চেয়ে বেশি দ্রুতগামী (সুপারসনিক) ব্রহ্মস পৃথিবীর অন্যতম দ্রুতগামী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। প্রাথমিক ভাবে এর পাল্লা ছিল ২৯০ কিলোমিটার। সে সময় কিছু আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিগত বিধিনিষেধের কারণেই এই সীমারেখা তৈরি করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে ভারত মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিমের (এমটিসিআর) সদস্য হওয়ার পরে রাশিয়ার নয়া প্রযুক্তির সহায়তায় ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়িয়ে ৪৫০ কিলোমিটার করা হয়।
প্রথাগত এবং পরমাণু বিস্ফোরক বহনে সক্ষম ব্রহ্মস যুদ্ধজাহাজ বা সুখোইউ-৩০-এর মতো যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া যায়। ব্রহ্মসের জাহাজ-বিধ্বংসী সংস্করণটি ভারতীয় বায়ুসেনার ব্যবহার করে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও-র তৈরি নয়া ‘ভুমি সংস্করণ’টির গতিবেগ ২.৮ ম্যাক (শব্দের চেয়ে ২.৮ গুণ বেশি গতিবেগ সম্পন্ন)।
আরও পড়ুন: ভারসাম্যেই নয়া ‘টিম’ বাইডেনের, প্রথম মহিলা গোয়েন্দা প্রধান পাচ্ছে আমেরিকা
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-য় চিনের সঙ্গে সঙ্ঘাতের আবহে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের নয়া সংস্করণের পরীক্ষা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই লাদাখে এই গোত্রের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন শুরু হয়েছে। ব্রহ্মসের পরবর্তী পরীক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে বঙ্গোপসাগরের পরে আরব সাগরকে বেছে নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ডিআরডিও।
আরও পড়ুন: ডোকলামে বাঙ্কার, অস্ত্রাগারের সারি, ভুটানের জমিতে সেনাঘাঁটি চিনের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy