নীরবের ন’টি বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। ছবি সৌজন্যে:এএনআই।
নীরব মোদী এবং মেহুল চোক্সী গোষ্ঠীর কোটি কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ড বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার বাজেয়াপ্ত করা হল নীরব মোদীর ৯টি বিলাসবহুল গাড়ি।
এ দিনও নীরব এবং মেহুলের অফিস ও বাড়িতে তল্লাশি চালান তদন্তকারী অফিসারেরা। মামা-ভাগ্নে জুটির মোট ৯৪ কোটি ৫২ লক্ষ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। যার মধ্যে প্রায় ৮৬ কোটি ৭২ লক্ষ টাকার মিউচুয়াল ফান্ড এবং শেয়ার রয়েছে মেহুলের বিভিন্ন সংস্থার নামে। বাকিটা নীরব এবং তাঁর বিভিন্ন সংস্থার নামে রয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি।
ছাড় পায়নি নীরবের বিলাসবহুল গাড়িগুলিও। ইডি সূত্রে খবর, নীরব এবং তাঁর বিভিন্ন সংস্থায় ব্যক্তিগত প্রয়োজনেই ব্যবহৃত হয় ওই লাক্সারি গাড়িগুলি। রোলস রয়েস ঘোস্ট, দু’টি মার্সিডিজ বেঞ্জ, একটি পোর্সে পানামেরা, তিনটি হন্ডা এবং একটি টয়োটা ফরচুনার গাড়ি এ দিন বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
আরও পড়ুন:
‘নীরব মোদীকে সামনে পেলে জুতোপেটা করব’
গরিব মরে, কেন ছাড় পায় ধনীরা, সুপ্রিম কোর্টে চড়া সওয়াল
নীরব কেলেঙ্কারিতে গোটা দেশ জুড়েই চলছে তল্লাশি অভিযান। এখনও পর্যন্ত নীরব ও তাঁর মামা মেহুল চোক্সীর মোট ১২৬টি ভুয়ো সংস্থার সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছে ইডি। সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকার। গত বুধবার, দেশের ১৭টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ১০ কোটি টাকার হিরে এবং সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। আয়কর দফতরও নীরবের ১৪১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ফিক্সড ডিপোজিট থেকে মোট ১৪৫ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা আটক করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের আলিবাগে নীরবের দেড় একরের একটি ফার্ম হাউসও বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই।
ED seized 9 cars belonging to #NiravMod and his companies. These cars include one Rolls Royce Ghost, two Mercedes Benz GL 350 CDIs, one Porsche Panamera, 3 Honda cars, one Toyota Fortuner and one Toyota Innova. pic.twitter.com/Kfx0rkPrIW
— ANI (@ANI) February 22, 2018
প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি)-এর আর কোনও উচ্চপদস্থ কর্তা বা কর্মী জড়িত আছেন কি না তা নিয়ে তদন্ত চলবে বলে জানিয়েছে ইডি। বুধবারই দিল্লিতে পিএনবি-র সদর দফতরের জেনারেল ম্যানেজার (ক্রেডিট) রাজেশ জিন্দলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁর সময় থেকেই নীরব মোদীকে বেআইনি ভাবে ঋণের গ্যারান্টি বা ‘লেটার অব আন্ডারটেকিং’ দেওয়া শুরু হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
ইডি-র বক্তব্য, এ রকম আরও কত বেআইনি লেনদেন হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। ইডি-র এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘বিপুল টাকা প্রতারণার পর অভিযুক্তের আরও কত অবৈধ সম্পত্তি রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত করবে ইডি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy