ভিন্দেশি শিশুটি জন্মেছিল আটটি হাত-পা নিয়ে। যার মধ্যে দু’টি বেরিয়েছিল তার পেট থেকে। তিন দফায় জটিল অস্ত্রোপচার করে শিশুটিকে নতুন জীবন দিলেন ভারতের চিকিৎসকরা।
ইরাকে জন্মানো ওই শিশুটির নাম করম। এখন তার বয়স সাত মাস। জন্মের পরেই ছেলের দেহে অতিরিক্ত হাত পা দেখে ঘাবড়ে যান তার বাবা শারওয়েদ আহমেদ নাদার। চিকিৎসার জন্য তিনি ছেলেকে নিয়ে আসেন ভারতে। নয়ডার জেপি হাসপাতালের চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে করমের অতিরিক্ত হাত-পা বাদ দেন। চিকিৎসকদের দাবি, বিশ্বে এমন অস্ত্রোপচার প্রথম।
চিকিৎসকদের ধারণা, করমের মায়ের যমজ সন্তান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাসয়ানিক তেজস্ক্রিয়তার কারণে মাতৃগর্ভে একটি ভ্রুণ ঠিক মতো বেড়ে উঠলেও অন্যটি পারেনি। সেই অসম্পূর্ণ ভ্রুণটির হাত-পা রয়ে যায় করমের শরীরে। অস্ত্রোপচার দলের সদস্য চিকিৎসক গৌরব রাঠৌর বলেন, ‘‘বিরল ব্যাপার। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে এমন রোগীর সংখ্যা পাঁচ বা ছয়। এমন অস্ত্রোপচার আমরা প্রথম করলাম।’’
করমের যখন দু’স়প্তাহ বয়স, তখন তার বাবা-মা চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতে নিয়ে আসেন। জেপি হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করেন। চিকিৎসক আনিশ রাইয়ের কথায়, ‘‘আমরা এমন শিশু আগে দেখিনি। আটটি হাত-পা ছাড়াও তার আরও কিছু জটিল সমস্যা ছিল। সব বিবেচনা করে চিকিৎসকদের একাধিক দল গড়ি।’’
করমের অস্ত্রোপচার এতটাই জটিল ছিল যে তা তিন দফায় করতে হয়। প্রথম দফায় করমের পেট থেকে বের হওয় পা-দু’টি বাদ দেওয়া হয়। পরের দু’দফায় ধাপে ধাপে চিকিৎসকরা বাদ দেন শিশুটির বাকি হাত-পা। গৌরবের কথায়, ‘‘এখনও পর্যন্ত আমাদের এই চিকিৎসা-যাত্রা দারুণ ভাবে সফল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy