Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ভোটে উপহারের টোপ এড়ান, প্রচার ছোট কাহিনিচিত্রে

তাই সচেতনতামূলক ‘শর্ট ফিল্ম’-এ কিশোর পড়ুয়াকে ব্যবহার করেছে তারা। 

আমজনতার সচেতনতার উপরে ভরসা করতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ছবি: সংগৃহীত।

আমজনতার সচেতনতার উপরে ভরসা করতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ছবি: সংগৃহীত।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:০১
Share: Save:

উপহারের বিনিময়ে ভোট! গোবলয়ের এই প্রবণতা ক্রমশই বিভিন্ন রাজ্যে সংক্রমিত হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক মহল। তা ঠেকাতে আমজনতার সচেতনতার উপরে ভরসা করতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ভোটারদের সঙ্গে সঙ্গে বার্তা দিতে চাইছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভোটারকেও। তাই সচেতনতামূলক ‘শর্ট ফিল্ম’-এ কিশোর পড়ুয়াকে ব্যবহার করেছে তারা।

অর্থ, খাবার, পোশাক, মদ বা উপহারের বাক্সের মোড়কে থাকা সামগ্রী— কোনও কিছুর বিনিময়েই ভোট নয়। এই বার্তা দিতে বাংলা ভাষাকে ব্যবহার করেছে কমিশন। দু’মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের শর্ট ফিল্মে তিনটি চরিত্রে রয়েছেন এক জন শিক্ষক, একটি ছাত্র এবং তার বাবা। ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে বার্তা প্রচারে এই ফিল্ম ব্যবহার করছে কমিশন। গল্পটা এ-রকম: পরীক্ষায় খারাপ ফল করেছে এক কিশোর। ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তার মধ্যবয়সি বাবা। সেই সময়েই কলিং বেল টিপে তাঁদের বাড়িতে ঢুকছেন পাঞ্জাবি পরা দুই যুবক। যাঁরা একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। ওই অভিভাবকের হাতে একটি উপহার তুলে দিয়ে এক আগন্তুক যুবক বলছেন, ‘বৌদির জন্য উপহার আনলাম।’ ওই মধ্যবয়সির বক্তব্য, ‘এর কী দরকার ছিল?’ দুই যুবকের এক জন বললেন, ‘আরে দাদা, রাখুন রাখুন। সঙ্গে মনে রাখুন, ভোট কিন্তু এ বার আমাদেরই চাই।’

আগন্তুক দুই যুবকের দলকেই ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ওই অভিভাবক। সঙ্গে সঙ্গে বাবার কাছে ছুটে আসে কিশোর পড়ুয়া। সে পাঁচ টাকার একটি নোট বাবার দিকে বাড়িয়ে বলে, ‘উপহার নিয়ে যেমন ওদের আবদার মেনে নিয়েছ, তেমনই পাঁচ টাকা নিয়ে আমার আবদারও মানো। আমায় মেরো না।’ ছেলের কথা শুনেও নিজের প্রতিশ্রুতির ‘ভুল’ বুঝতে পারেননি অভিভাবক। উল্টে ছেলেকে মারতে উদ্যত হন তিনি। সেই সময় কিশোর পড়ুয়ার শিক্ষক এগিয়ে এসে বোঝাতে শুরু করেন, উপহারের বিনিময়ে ভোট দেওয়া ঠিক নয়। কেন উপহারের বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকে ভোটদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মধ্যবয়সি ব্যক্তি, তার ব্যাখ্যা দেন তিনি। সেই সময় ইভিএম বা বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রের সঙ্গে ভিভিপ্যাট যুক্ত হওয়ার সুবিধা বুঝিয়ে উপহারের যে কোনও প্রয়োজনই নেই, সেটা বুঝিয়ে বলেন ওই শিক্ষক।

প্রশ্ন উঠছে, ভোটারদের বোঝাতে এই ধরনের শর্ট ফিল্ম কেন? এবং সেটা বাংলাতেই বা কেন? কমিশনের বক্তব্য, বিষয়টি কোনও বিশেষ রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সর্বজনকে বার্তা দিতেই এই শর্ট ফিল্ম তৈরি করা হয়েছে। আলাদা ভাবে কোনও রাজ্য এই ছবির লক্ষ্য নয়। ছবিটি সামগ্রিক ভাবে সব রাজ্যের জন্যই। থাকছে ইংরেজি সাবটাইটেলও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE