তিন বার বাড়ি গিয়েও বিহারে প্রায় ৩৫ লক্ষ ভোটারের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানাল নির্বাচন কমিশন।
এ ছাড়া স্থায়ী ভাবে অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত হওয়া, মারা যাওয়া, একই নাম তালিকায় দু’বার উল্লেখ থাকা—সব মিলিয়ে বিহারে প্রায় ৭০ লক্ষ নাম এখন পর্যন্ত বাদ পড়ার মুখে। যা রাজ্যের মোট ভোটারের প্রায় আট শতাংশেরও বেশি। কংগ্রেসের অভিযোগ, তালিকা থেকে এ ভাবে তাড়াহুড়ো করে নাম বাদ দেওয়া বুঝিয়ে দিচ্ছে, কমিশন বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে। এ দিকে, আজ কমিশন জানিয়েছে, ৫.৮ শতাংশ অর্থাৎ ৪৫.৮২ লক্ষ ফর্মের জমা পড়া বাকি রয়েছে।
আসন্ন বাদল অধিবেশনে ভোটার তালিকা পরিমার্জনের বিষয়টি সরকারকে চাপে ফেলার অন্যতম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছে বিরোধী দলগুলি। ১৯ জুলাই তারা অনলাইনে বৈঠক করবে। সন্ধ্যা ৭টায় হওয়া ওই বৈঠকে থাকবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিও। কংগ্রেসের কে সি বেণুগোপাল বলেন, ‘‘ভোটারের কাগজ বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বুথ পর্যাযের আধিকারিকের হাতে। ফলে তালিকায় নাম থাকবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে ভোটাররা।’’ তৃণমূল আরজেডি, এসপি-র সঙ্গে আলোচনা সেরে রেখেছে। কারণ, বিষয়টির সঙ্গে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন জড়িয়ে রয়েছে।
এ ছাড়া, বাংলা বলার অপরাধে দেশ জুড়ে যে ভাবে বাঙালিদের হেনস্থা করা হচ্ছে, তা নিয়েও
সরব হবেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের মতে, দু’টি বিষয় একই মুদ্রার এ পিঠ-ও পিঠ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)