উদ্ধার করা হল জলকবলিত হাতিটিকে। (ইনসেটে) ঘুমপাড়ানি গুলি খাওয়ার পর গভীর নিদ্রায় হাতিটি। ছবি: অসীম মল্লিক
দেড় মাস পরে অসম থেকে ভেসে বাংলাদেশে পৌঁছে যাওয়া হাতিটিকে ঘুম পাড়ানি গুলি ছুঁড়ে শুকনো ডাঙায় তোলা হল। গত কাল জামালপুরের কয়রা গ্রামে পশু চিকিৎসক সৈয়দ হোসেন ধাতব ডার্টের সাহায্যে হাতিটিকে ঘুম পাড়ান। কয়েকশো মানুষ ও বনকর্মী মিলে পাঁচ টন ওজনের হাতিটিকে টেনে ডাঙায় তোলেন।
গত ৩ অগস্ট অসম থেকে তিন বিশেষজ্ঞ হাতি উদ্ধারে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। তখন অনেক চেষ্টাতেও তাকে ঘুম পাড়ানো যায়নি। এর পরেও বেশ কয়েক দফার বিভিন্ন চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর গত কাল সাফল্য আসে। অন্য হাতি ঘুম পাড়ানি গুলি লাগার ঘণ্টা চারেকের মধ্যে ঘুম ভেঙে উঠে দাঁড়ায়। কিন্তু দেড় মাস জলের মধ্যেই থাকা দুর্বল পুরুষ হাতিটির ঘুম ভাঙতে ১০ ঘণ্টা সময় লাগে। গত কাল গভীর রাতে তার ঘুম ভাঙে। আপাতত সরিষাবাড়িতে কলাগাছ ও অন্য খাবার খেয়ে তার শরীরে শক্তি ফিরছে। পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় উঠে দাঁড়িয়েছে সে। কিন্তু ওই গ্রামে বড় ট্রাক বা ক্রেন ঢোকার মতো কোনও রাস্তাই নেই। তাই হাতিটিকে কুনকি হাতি এনে পোষ মানানো ছাড়া উপায় নেই বলে জানান বন্যপ্রাণ অপরাধ দমন শাখার ইনস্পেক্টর অসীম মল্লিক। পোষ মানানোর পরে তাকে হাঁটিয়ে বড় রাস্তায় আনা হবে। মানুষের সংস্পর্শে আসা হাতিকে বুনো হাতিরা দলে ফেরত নেয় না। তাই অসীমবাবুর মতে, সুস্থ হওয়ার পরে হাতিটিকে সম্ভবত ঢাকা সাফারি পার্কেই নিয়ে যাওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy