দিল্লি বিমানবন্দরে এক যাত্রীকে মেরে রক্তাক্ত করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পাইলটের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত ব্যক্তি স্পাইসজেট উড়ান সংস্থার যাত্রী ছিলেন। যিনি তাঁকে মারধর করেন, তিনি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের পাইলট। ঘটনার পরে অভিযুক্ত পাইলটের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করেছে উড়ান সংস্থা। তাঁকে নিলম্বিত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আক্রান্ত অঙ্কিত দেওয়ান পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যাচ্ছিলেন। দিল্লি বিমানবন্দরে বোর্ডিংয়ের জন্য ‘সিকিউরিটি চেক’-এর লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, সেই সময়েই লাইন ভেঙে আগে ভিতরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র সেজওয়াল। তিনি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের পাইলট। তবে ঘটনার সময়ে বীরেন্দ্র কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন না। বীরেন্দ্রের লাইন ভাঙার প্রতিবাদ করেন অঙ্কিত। তাতেই শুরু হয় বচসা। বচসা বৃদ্ধি পেতেই তা মারপিটের পর্যায়ে পৌঁছে যায় এবং ওই পাইলট অঙ্কিতকে মেরে রক্তাক্ত করে দেন বলে অভিযোগ।
শুক্রবারের ওই অভিজ্ঞতার কথা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানান অঙ্কিত। নিজের রক্তাক্ত মুখের একটি ছবিও পোস্ট করেন তিনি। যে পাইলটের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়েছিল, তাঁর ছবিও প্রকাশ্যে আনেন অঙ্কিত। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই বিবৃতি জারি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। ওই ঘটনার নিন্দা করে উড়ান সংস্থা জানিয়েছে, অভিযুক্ত পাইলট যাত্রী হিসাবে অন্য উড়ান সংস্থার সফর করছিলেন। বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বলেছে, “আমরা এই ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা করছি। ঘটনার তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ওই কর্মীকে অবিলম্বে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কী উঠে আসে, তার ভিত্তিতে যথাযথ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে।”
আরও পড়ুন:
তবে শুক্রবারের ওই ঘটনার ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারছেন না অঙ্কিত। ঘটনার সময়ে অঙ্কিতের সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। গোটা ঘটনাই তাঁর সামনেই ঘটেছে। স্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিল চার মাসের কন্যাও। অঙ্কিতের দাবি, ঘটনার পর থেকে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। তিনি বলেন, “মানুষ যে এত দ্রুত মারপিট শুরু করে দিতে পারে, তা অত্যন্ত ভয়াবহ। এমনটা রাস্তাঘাটে প্রায়শই ঘটে থাকে। কিন্তু বিমানবন্দরের ভিতরে আমি এমনটা আশা করিনি। বিমানবন্দরের মধ্যে এমন ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক।” যদিও এই ঘটনায় শনিবার সকাল পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলেই দাবি দিল্লি পুলিশের। পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অভিযোগকারী বা উড়ান সংস্থা কোনও তরফেই কোনও অভিযোগ আসেনি থানায়।