Advertisement
E-Paper

৩ জঙ্গি হত, এক সাধারণ নাগরিকেরও মৃত্যু ঘিরে তপ্ত শ্রীনগর

খাস শ্রীনগরে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হল তিন লস্কর জঙ্গি। তারা বড় কোনও হামলার ছক কষছিল বলে দাবি পুলিশের। আহত হয়েছেন এক অফিসার ও দুই জওয়ানও। লড়াইয়ের সময়ে বাহিনী-জনতা সংঘর্ষের জেরে এক স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৮ ১০:৩৬
ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

খাস শ্রীনগরে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হল তিন লস্কর জঙ্গি। তারা বড় কোনও হামলার ছক কষছিল বলে দাবি পুলিশের। আহত হয়েছেন এক অফিসার ও দুই জওয়ানও। লড়াইয়ের সময়ে বাহিনী-জনতা সংঘর্ষের জেরে এক স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে।

প্রথামাফিক জম্মু-কাশ্মীরের সরকারি দফতরগুলি এখন গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে সরে এসেছে। সোমবারই গ্রীষ্মকালীন রাজধানীতে কাজ শুরু হওয়ার কথা। পুলিশ জানিয়েছে, সেই সময়েই হামলার ছক কষছিল তিন লস্কর জঙ্গি। আজ সকালে গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে শ্রীনগরের ছাট্টাবল এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি ঘিরে ফেলে বাহিনী। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইজি এস পি পানি জানান, প্রথমে ওই এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। তার পরে লাউডস্পিকারে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলে বাহিনী। তবে তারা রাজি হয়নি।

তখনই নির্মীয়মাণ বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশনস গ্রুপ ও সিআরপিএফের জওয়ানেরা। জঙ্গিরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার পরে সংঘর্ষ শুরু হয়। তাতে নিহত হয় তিন জঙ্গি। সিআরপিএফের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ডান্ট এবং সিআরপিএফ ও স্পেশ্যাল অপারেশনস গ্রুপের দুই জওয়ান আহত হয়েছেন।


সংঘর্ষে উড়ে গিয়েছে দেওয়াল। শ্রীনগরের ছাট্টাবল এলাকায়।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত জঙ্গিদের মধ্যে এক জনের নাম ফৈয়াজ আহমেদ হাম্মাল। সে শ্রীনগরেরই খানকা-ই-মহল্লার বাসিন্দা। বছর তিরিশের ফৈয়াজ এক সময়ে স্থানীয় একটি প্রেসে কাজ করত। পরে পাথর ছোড়ার ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে সে। গত এক বছর ধরে ফৈয়াজ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে ধারণা গোয়েন্দাদের। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ছিনতাই-সহ বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। বাকি দুই জঙ্গির পরিচয় এখনও প্রকাশ করেনি বাহিনী। তবে গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই দু’জনের পায়ে গ্যাংগ্রিন হয়ে গিয়েছিল। গোয়েন্দাদের ধারণা, ওই দুই জঙ্গি পাকিস্তানি। বরফের মধ্যে দিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরোনোর সময়ে তুষারক্ষত থেকেই তাদের পায়ে গ্যাংগ্রিন হয়েছিল।

আরও পড়ুন: অকারণে গুলি পুলিশের, দাবি কিশোরের দাদার

আরও খবর: পূর্ত অফিসার হত, ক্ষুব্ধ শীর্ষ আদালত

এক পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘ফৈয়াজকে ওই দুই পাকিস্তানি জঙ্গিকে সাহায্য করার ভার দিয়েছিল লস্কর। সোমবার শ্রীনগরে সরকারি দফতর খোলার সময়ে বা তার পরে হামলা চালানোর ছক কষছিল তারা।’’

সংঘর্ষের খবর পেয়ে শ্রীনগরের সাফা কাডাল এলাকায় বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে স্থানীয়দের একাংশ। সেই সময়ে পুলিশের গাড়িতে চাপা পড়ে আদিল আহমেদ ইয়াড্ডু নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়।

এ দিনই উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলার হাজিনে দুই স্থানীয় বাসিন্দাকে গুলি করে খুন করেছে জঙ্গিরা। পুলিশ জানিয়েছে, হাজিনের শাহগুন্দ এলাকার বাসিন্দা গুলাম হাসান দার ও তাঁর ভাইপো বশির আহমেদ দারকে শনিবার ভোরে অপহরণ করে জঙ্গিরা। পরে স্থানীয় একটি মসজিদের কাছ থেকে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কেন এই দু’জনকে খুন করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ছবি: পিটিআই।

Jammu and Kashmir Militant SRINAGAR Karan Nagar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy