Advertisement
E-Paper

ট্রাম্পের নীতি ‘সিলেবাসের বাইরে’ হলেও দিল্লির কাছে গুরুত্ব পাবে জাতীয় স্বার্থই, স্পষ্ট করলেন বিদেশমন্ত্রী

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন ‘জাতীয়তাবাদী আমেরিকান’! ট্রাম্প জমানায় আমেরিকার কিছু নীতি ‘সিলেবাসের বাইরে’ হতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৯
(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আমেরিকার প্রেসি়ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি কিছু ক্ষেত্রে ‘সিলেবাসের বাইরে’ হলেও হতে পারে। তবে তার জন্য ভারতের কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর মতে, ভারতের বিদেশ নীতি দেশের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এগোবে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত হংসরাজ কলেজে এক আলোচনাসভায় বৃহস্পতিবার বক্তৃতা করছিলেন জয়শঙ্কর। সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি।

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর আমেরিকার বৈদেশিক নীতির দিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। ইতিমধ্যে তাঁর বেশ কিছু পদক্ষেপ ঘিরে আলোচনাও শুরু হয়েছে। তালিকায় রয়েছে অভিবাসন নীতি, আমেরিকার নাগরিকত্ব নীতি এবং বাণিজ্যিক শুল্ক নীতির মতো বিষয়গুলি। জয়শঙ্করের মতে, ট্রাম্পের বিভিন্ন নীতিতে বিশ্বে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতে পারে। তবে ভারতের বিদেশ নীতি জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এগোবে বলে জানান বিদেশমন্ত্রী।

জয়শঙ্করের কথায়, “তিনি (ট্রাম্প) অনেক কিছুই পরিবর্তন করবেন। হয়ত কিছু কিছু পরিবর্তন সিলেবাসের বাইরেও হবে। কিন্তু আমাদের সেই সিলেবাসের বাইরে থাকা নীতিগুলিকে দেশের স্বার্থ অনুসারে ব্যবহার করতে হবে।” তাঁর মতে, ভারত এবং আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক যথেষ্ট মজবুতই রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “হয়ত কিছু বিষয় থাকবে, যার সঙ্গে আমরা সহমত হব না। কিন্তু এমন অনেক ক্ষেত্রে থাকবে যা আমাদের পক্ষে হবে।”

বিদেশমন্ত্রীর মতে, ট্রাম্প একজন ‘জাতীয়তাবাদী আমেরিকান’। গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ছিলেন তিনি। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বেশ কিছু বৈঠকও সেরে এসেছেন। আমেরিকার প্রেসি়ডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, “আমাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি তিনি (ট্রাম্প) একজন জাতীয়তাবাদী আমেরিকান।”

ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে জয়শঙ্করের বসার আসন ছিল একেবারে সামনের সারিতে। তা থেকে অনেকেই মনে করছেন ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি মোদীর সঙ্গে ফোনে কথাও হয়েছে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের। তার পরে ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন, আগামী মাসেই হয়ত হোয়াইট হাউসে যেতে পারেন মোদী।

Donald Trump S jaishankar India USA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy