Advertisement
E-Paper

জাল মেডিক্যাল পরীক্ষার্থী ধৃত

‘জাল’ পরীক্ষার্থী ধরা পড়ল মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষায়। রাজস্থানের জয়পুর থেকে শিলচরে এসে পরীক্ষায় বসেছিল বরপেটার প্রিয়াংশু প্রতীম বরার নামে।কাছাড়ের জেলাশাসক এস বিশ্বনাথন জানিয়েছেন, ধৃতের নাম সুভাষ বিষ্ণোই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৬ ০৩:০৮

‘জাল’ পরীক্ষার্থী ধরা পড়ল মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষায়। রাজস্থানের জয়পুর থেকে শিলচরে এসে পরীক্ষায় বসেছিল বরপেটার প্রিয়াংশু প্রতীম বরার নামে।

কাছাড়ের জেলাশাসক এস বিশ্বনাথন জানিয়েছেন, ধৃতের নাম সুভাষ বিষ্ণোই। সেন্টার ইনচার্জ বিভাস দেবের লিখিত অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খোঁজা হচ্ছে মূল পরীক্ষার্থী প্রিয়াংশুকেও।

অসমের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এমবিবিএস-বিডিএসে ভর্তির জন্য এন্ট্রান্স পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্বে রয়েছে ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যের ৬টি কেন্দ্রে আজ তাদেরই তত্ত্বাবধানে একই সঙ্গে পরীক্ষা শুরু হয়। বরাক উপত্যকার পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয় শিলচরের গুরুচরণ কলেজে। সেখান থেকেই আজ সুভাষকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশের জেরায় সুভাষ জানিয়েছে, ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থী হিসেবে বসার জন্য এক এজেন্সি তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। ই-মেলে কথাবার্তা, দরদাম পাকা হয়। চুক্তি অনুযায়ী কাল সে শিলচরে এসে একটি হোটেলে ওঠে। সেখানেই কথামত ৬০ হাজার টাকার লেনদেন হয়। এজেন্সির প্রতিনিধিই টাকাটা তার হাতে দিয়ে যায়। প্রিয়াংশুর হয়ে পরীক্ষায় বসলেও সুভাষ বিষ্ণোই জানায়, সে তাকে কখনও দেখেনি। কথাও হয়নি। এজেন্সিই উভয় পক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছিল। আজ সকালে ইনভেজিলেটর যখন অ্যাডমিট কার্ড পরীক্ষা করে উত্তরপত্রে সই করছিলেন তখন কার্ডের ছবির সঙ্গে পরীক্ষার্থীর মিল নেই বলে সন্দেহ হয় তাঁর। এ ক্ষেত্রে সংশয় কাটানোর জন্য পাসপোর্ট সাইজের মূল ছবিটি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে রাখতে হয়। সেটি দেখতে চাইলে সন্দেহের মাত্রা আরও বাড়ে। ধরা পড়ে, অ্যাডমিট কার্ডের ছবি এটি নয়। হোটেলে খবর নিয়ে জানা যায়, প্রিয়াংশু প্রতীম বরা নামে কেউ ঘরভাড়া নেয়নি। নিয়েছে জয়পুরের সুভাষ বিষ্ণোই। এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। গুরুচরণ কলেজের অধ্যক্ষ বিভাস দেব সেন্টার ইনচার্জ হিসেবে সুভাষের নামে অভিযোগ জানিয়ে পুলিশে এফআইআর দায়ের করেন। কিন্তু মেডিক্যাল এট্রান্সে যে প্রক্সি দিতে এসেছে, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কী? সুভাষের দাবি, উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর তার আর পড়া হয়নি। এন্ট্রান্সে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের প্রশ্নপত্র হয় বলেই আত্মবিশ্বাসে ভর করে এজেন্সির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। পুলিশ অবশ্য তার এই বক্তব্য মানতে নারাজ। তাদের অনুমান, ধৃত যুবক কোনও মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র। তার আসল পরিচয় জানার জন্য অসম পুলিশ রাজস্থানে যোগাযোগ করছে। মূল পরীক্ষার্থী প্রিয়াংশু প্রতীম বরারও খোঁজ করা হচ্ছে।

Medical exam Fake student
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy