উত্তরকাশীর সেই সুড়ঙ্গ। ছবি: পিটিআই।
সুখবর শুনে যেতে পারলেন না। ছেলেকে নিয়ে চিন্তা করতে করতেই মৃত্যু হল বৃদ্ধের। উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে পড়েছিলেন তাঁর ছেলে। মঙ্গলবার রাতে উদ্ধারকাজ সফল হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার বাহদা গ্রামের বাসিন্দা ২৮ বছরের ভক্তু। তিনি উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে যুক্ত ছিলেন। গত ১২ নভেম্বর সুড়ঙ্গে ধস নামলে ভিতরে আটকে পড়েন। তাঁর বাবা বরসা মুর্মুর বয়স ৭০ বছর। ছেলে আটকে পড়েছেন শুনেই চিন্তিত হয়ে পড়েন তিনি। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বৃদ্ধ বার বার সুড়ঙ্গের খবর নিচ্ছিলেন। উত্তেজিত হয়ে পড়ছিলেন ছেলের কথা ভেবে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন চিন্তায়।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা নাগাদ বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তাঁর পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, নিজের খাটিয়ার উপর বসেছিলেন বৃদ্ধ। সেই অবস্থাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। আর তার ১২ ঘণ্টা পর, ওই দিন রাতেই সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁর পুত্র।
বৃদ্ধের মৃত্যুর কারণ অবশ্য নিশ্চিত করেনি প্রশাসন। মনে করা হচ্ছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে পরিবারের দাবি, ছেলের চিন্তাতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে।
সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়েছেন, তবে এখনও বাড়ি ফিরতে পারেননি ভক্তু। তিনি অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে এখনও হৃষীকেশ এমসে রয়েছেন। সেখান থেকে শীঘ্রই তাঁদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে। ঝাড়খণ্ডের ১৫ জন শ্রমিক ছিলেন উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে। ঝাড়খণ্ড সরকার তাঁদের আকাশপথে রাজ্যে ফিরিয়ে আনবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy