Advertisement
E-Paper

কেউ ফেরাল, কেউ ‘নামমাত্র’ পরীক্ষার পর রেফার করে দিল! উত্তরাখণ্ডে পাঁচ হাসপাতাল ঘুরে মৃত্যু সেনা অফিসারের পুত্রের

শিবাংশের বাবা তথা সেনা অফিসারের অভিযোগ, ‘‘আমার ছেলে কী অপরাধ করেছিল? জরুরি পরিষেবার মানে কি এটাই? আমার মতো যেন এ রকম পরিস্থিতির শিকার কাউকে হতে না হয়।’’

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৫ ১৩:৩৯
হাসপাতালে মৃত্যু শিবাংশ জোশীর (বাঁ দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

হাসপাতালে মৃত্যু শিবাংশ জোশীর (বাঁ দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

একটু চিকিৎসার জন্য চার জেলার পাঁচ হাসপাতাল ঘুরতে হল। কেউ ফেরাল, কেউ ‘নামমাত্র’ পরীক্ষা করে অন্যত্র স্থানান্তরের পরামর্শ দিল। এ ভাবে একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে শেষমেশ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল এক সেনা জওয়ানের এক বছরের সন্তান। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টিকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ বলেও উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

শিবাংশ জোশী। বয়স মাত্র এক বছর দু’মাস। সেনা আধিকারিক দীনেশচন্দ্র জোশীর পুত্র। গত ১০ জুলাই শিবাংশের বমি শুরু হয়। ‘ডিহাইড্রেশন’-এর সমস্যা দেখা দেয়। তার মা চামোলির গ্বলদামে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান শিবাংশকে। সেখান থেকে তাকে ২২ কিলোমিটার দূরে বাগেশ্বরের বৈজনাথে এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে কোনও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন না বলে অভিযোগ শিশুটির পরিবারের। ফলে আরও ২০ কিলোমিটার দূরের বাগেশ্বর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুটিকে।

অভিযোগ, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যে চিকিৎসক দায়িত্বে ছিলেন, তিনি ফোনে ব্যস্ত ছিলেন। নার্সেরা খোশমেজাজে গল্পে মগ্ন ছিলেন। এক সংবাদমাধ্যমকে দীনেশ বলেন, ‘‘ওই চিকিৎসক, নার্স এবং হাসপাতাল কর্মীরাও আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। চিকিৎসক আমার ছেলেটাকে ছুঁয়েও দেখলেন না। উল্টে বললেন আলমোরাতে নিয়ে যেতে।’’

শিশুটির মা বলেন, ‘‘চিকিৎসকেরা ১০৮ নম্বরে ফোন করতে পরামর্শ দেন। আমি ফোন করেছিলাম। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স আসেনি। চিকিৎসক, নার্সদের সে কথা জানাই। ওঁরা আমার কথার গুরুত্বই দেননি। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ অ্যাম্বুল্যান্স আসে। তার পর শিবাংশকে আলমোরা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাই।’’ সেখানে চিকিৎসার পর আবার নৈনিতালের হলদওয়ানির হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ভর্তি করানো হয়। ১২ জুলাই শিশুটিকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। ১৬ জুলাই মৃত্যু হয় তার।

শিবাংশের বাবা তথা সেনা অফিসারের অভিযোগ, ‘‘আমার ছেলে কী অপরাধ করেছিল? জরুরি পরিষেবার মানে কি এটাই? আমার মতো যেন এ রকম পরিস্থিতির শিকার কাউকে হতে না হয়।’’ এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা নড়েচড়ে বসেন। মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই ঘটনায় কারও গাফিলতি থাকলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।

Hospitals Medical Negligence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy