Advertisement
০৭ মে ২০২৪

৪ রাজ্যে বন্যা আশঙ্কাজনক, পরিদর্শনে অমিত শাহ

ত্রাণ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। আজ মহারাষ্ট্র, কর্নাটকের দুর্গত এলাকা আকাশপথে ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

কর্নাটকে অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।

কর্নাটকে অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
তিরুঅনন্তপুরম ও বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৯ ০২:৩৮
Share: Save:

কেরল, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতে বন্যা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মৃতের সংখ্যা দেড়শো ছাড়িয়েছে। কয়েক লক্ষ মানুষ গৃহহীন। ফসল এবং অন্যান্য সম্পদ নষ্ট হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার। সব চেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা কেরলে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, বন্যায় ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ ৫৮।

ত্রাণ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। আজ মহারাষ্ট্র, কর্নাটকের দুর্গত এলাকা আকাশপথে ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার অভিযোগ, ত্রাণ বণ্টনে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বন্যা পরিস্থিতি দেখতে কেরলের ওয়েনাডে পৌঁছন রাহুল গাঁধী।

কর্নাটকের বন্যায় এখনও পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ১৭টি জেলায় প্রায় চার লক্ষ মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। চেন্নাই থেকে বিশেষ বিমানে বেলাগাভির সাম্ব্রা বিমানবন্দরে পৌঁছন অমিত। সেনা হেলিকপ্টারে বেলগাভি জেলার কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। সপ্তাহ দুয়েক আগে ক্ষমতায় এসেছে বি এস ইয়েদুরাপ্পা সরকার। কিন্তু এখনও মন্ত্রিসভা গঠিত হয়নি। সিদ্দারামাইয়ার কটাক্ষ, ‘‘রাজ্যে ‘ওয়ান ম্যান শো’ চলছে। মন্ত্রিসভা না থাকলে ত্রাণ বণ্টন হবে কী ভাবে?’’

মহারাষ্ট্রে সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সাঙ্গলি। আজ সাঙ্গলি, সাতরা এবং কোলাপুরের বিভিন্ন এলাকা আকাশপথে ঘুরে দেখেন অমিত। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। কোলাপুর এবং সাঙ্গলি থেকেই সাড়ে তিন লক্ষের বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। চার নম্বর জাতীয় সড়ক ছ’দিন বন্ধ থাকার পর আগামিকাল খুলতে পারে। দিন কয়েক আগে সাঙ্গলিতে নৌকাডুবির ঘটনায় আজ পাঁচজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মহারাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ৪০।

কেরলে আজ তেমন বৃষ্টি না হলেও বহু এলাকা জলের নীচে। প্রশাসন জানিয়েছে, ওয়েনাড, কান্নুর ও কাসারগোড় জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দু’লক্ষ সাতাশ হাজার মানুষ দেড় হাজার ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। মলপ্পুরম জেলায় ধসে বহু মানুষ আটকে রয়েছেন। দু’দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে কোচি বিমানবন্দর ফের চালু হয়েছে।

গুজরাতে বন্যায় এখনও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছ এলাকায় আজও প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। ২০ জন মৎস্যজীবীর একটি দল সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Amit Shah Flood Karnataka
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE