উত্তেজনা ছিল না। তবে হাসিতে ভরে উঠেছিল মুখ। বেঙ্গালুরুর জেল থেকে মুক্তির নির্দেশ দেখতে পেয়ে জয়ললিতার প্রতিক্রিয়া ঠিক এমনই হয়েছিল বলে জানিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ।
গত কালই আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জামিন পান এডিএমকে নেত্রী। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় গত কাল মুক্তি পাননি তিনি। আজ বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কপি পেশ করেন জয়ললিতার আইনজীবীরা। দু’কোটি টাকার বন্ড ও সম্পত্তির উপরে ১ কোটি টাকার জামিনের মুচলেকাও দেওয়া হয়। তার পরে এডিএমকে নেত্রীর মুক্তির নির্দেশ দেন বিচারক জন মাইকেল ডি’কুন্হা।
জেলে এডিএমকে নেত্রীর হালচাল নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সংবাদমাধ্যমকে খবর দিচ্ছিলেন কর্নাটক পুলিশের ডিআইজি (কারা) এম জয়সিমা। আজও মুক্তির খবরে এডিএমকে নেত্রীর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার খবর দেন তিনিই। জয়সিমার কথায়, “ওঁর স্নায়ু খুব শক্ত। মুক্তির খবরে একদমই উত্তেজিত হননি। তবে মুখটা হাসিতে ভরে গেল।” সহ-অভিযুক্ত শশীকলা ও ইলাভারসির সঙ্গে কয়েকটা হাল্কা মুহূর্ত কাটান এডিএমকে নেত্রী। শশীকলা, ইলাভারসি ও মামলার চতুর্থ অভিযুক্ত এন সুধাকরনও আজ মুক্তি পেয়েছেন।
কারাদণ্ড যখন হয়েছিল তখন তিনি মুখ্যমন্ত্রী। জামিন পেয়ে জেল থেকে যখন বেরোলেন তখন
বিধায়কও নন জয়ললিতা। তাই ঢাকা পড়েছে গাড়ির লালবাতি। শনিবার বেঙ্গালুরুতে। ছবি পিটিআই
বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল জেলের বাইরে নেত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির হন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী-সহ নেতা-সমর্থকদের একটি দল। ফুলবৃষ্টি ও স্লোগানের মধ্যেই হ্যাল বিমানবন্দরে রওনা হয় নেত্রীর কনভয়। পরে বিশেষ বিমানে চেন্নাইয়ে আসেন তিনি। ‘আম্মা’কে এক ঝলক দেখতে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন ভক্তেরা। এসইউভি-র সামনের আসনে বসে হাসিমুখে তাঁদের নমস্কার করেন নেত্রী। চেন্নাইয়েও ফুলে ভরে গিয়েছে তাঁর গাড়ি। পোয়েজ গার্ডেন রোডের বাড়িতে যাওয়ার আগে মন্দিরে পুজোও দেন তিনি। নেত্রী বাড়ি ফেরায় স্বস্তি এসেছে এডিএমকে শিবিরে। রাজ্যের রাজনীতি কোন পথে হাঁটে তা দেখতে আগ্রহী সকলেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy