লালু প্রসাদ যাদব। পিটিআইয়ের ফাইল চিত্র।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দেওঘর ট্রেজারি মামলায় লালু প্রসাদ যাদবের সাজা ঘোষণা হল না। শুক্রবারে রাঁচীর বিশেষ সিবিআই আদালতে লালুর সাজা ঘোষণা কথা ছিল। আদালত সূত্রে খবর, শনিবার সাজা ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই মামলায় অভিযুক্ত ১৬ জনের মধ্যে ৫ জনের শুনানি হয় বৃহস্পতিবার। ওই দিনই লালুর সাজা ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু দুই আইনজীবীর মৃত্যুতে আদালত মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় লালুর সাজা ঘোষণার দিন পিছিয়ে শুক্রবার করা হয়। কিন্তু এ দিনও সাজা ঘোষণার বিষয়টি পিছিয়ে যায়। ফলে ঝুলেই রইল লালুর সাজা ঘোষণার বিষয়টি।
কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এ দিন লালুকে আদালতে সশরীরে হাজির করানো হয়নি। এই মামলায় অভিযুক্ত লালু-সহ পাঁচ জনের শুনানি হয় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। বাকি ৬ জনের শুনানি হবে শনিবার।
আরও পড়ুন: বিমানের ভাড়ায় নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ
বাঙালিদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না, আশ্বাস রাজনাথের
লালুর আইনজীবী চিত্তরঞ্জন সিন্হা আদালতে হাজির ছিলেন। শুনানির সময় বিচারপতি শিবপাল সিংহের কাছে তিনি আর্জি জানান, লালু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। হৃত্পিণ্ডের অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাই তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে যেন কম শাস্তি দেওয়া হয়।
১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে দেওঘর ট্রেজারি থেকে বিপুল অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগেই দায়ের হয় এই মামলা। তখন অবিভক্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এই মামলায় মোট অভিযুক্ত ৩৪ জন। তার মধ্যে ১১ জন ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। সেই সময় ক্ষমতায় না থাকায় আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রকে আগেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছেন বিচারক। মুক্তি পেয়েছেন আরও পাঁচ অভিযুক্ত। দোষীদের তালিকায় রয়েছেন লালু-সহ ১৭ জন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার বেক জুলিয়াস, ফুলচাঁদ সিংহ এবং মহেশপ্রসাদ। রয়েছেন এক বাঙালি অফিসার, সুবীর ভট্টাচার্যও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy