— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মাত্র এক বার কোনও মেয়ের পিছু নেওয়াকে ‘অবৈধ নজরদারি’ চালানো বা ‘স্টকিং’ বলা যায় না। একে অপরাধের আওতায় আনা য়ায় না। সম্প্রতি এক পকসো মামলায় এমনটাই রায় দিয়েছে বম্বে হাই কোর্ট। ১৪ বছর বয়সি এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা এবং তার পিছু ধাওয়া করার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ১৯ বছরের তরুণের আবেদনের শুনানির সময় এই মন্তব্য করেছেন বিচারপতি জিএ সানপে।
বিচারপতি জানান, এক বারও কোনও মেয়ের পিছু ধাওয়া করা বাঞ্ছনীয় নয়। তবে তা ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি)-র ৩৫৪ (ডি) ধারায় উল্লিখিত ‘অবৈধ নজরদারি’ চালানো বা স্টকিংয়ের আওতাতেও পড়ে না। দীর্ঘ সময় ধরে একাধিক বার কাউকে অনুসরণ করা হলে তবেই তাকে ‘নজরদারি’ বলে গণ্য করা যাবে। শুধু তাই নয়, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই তরুণের এক জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। তবে মূল অভিযুক্তকে যৌন হেনস্থার দায়ে আইপিসির ৩৫৪ (এ) এবং পকসো আইনের ৪ নং ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২০ সালে। ওই বছর জানুয়ারি মাসে এক দিন নাবালিকার পিছু নিয়ে তার বাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া করে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মূল অভিযুক্ত তরুণ। নাবালিকা সেই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে। বাড়িতেও সবটা জানায় সে। এর পর মেয়েটির মা ছেলেটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্ত ঘটনা জানান। তাতেও লাভ হয়নি। সুযোগ পেলেই ওই নাবালিকাকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন ওই তরুণ। শেষমেশ ওই বছরেরই ২৬ অগস্ট একই ভাবে মেয়েটির পিছু নিয়ে জোর করে তার বাড়িতে ঢুকে পড়েন তরুণ। অভিযোগ, বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে মেয়েটিকে যৌন হেনস্থাও করেন তিনি। সে সময় দ্বিতীয় অভিযুক্ত বাড়ির বাইরে পাহারা দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যৌন হেনস্থা, নজরদারি ও অবৈধ ভাবে পিছু ধাওয়া করা, ভয় দেখানোর মতো নানা অভিযোগে শিশু সুরক্ষা আইন (পকসো) এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy