আত্মপক্ষ সমর্থনে সনিয়া গাঁধী আজ দলের গোটা ফৌজকে নামিয়ে দিলেও মোদী সরকার সাফ করে দিল, কপ্টার-দুর্নীতিতে রেয়াত করা হবে না গাঁধী পরিবারকে।
কপ্টার-দুর্নীতি নিয়ে আজ রাজ্যসভায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টার আলোচনার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পার্রীকর কারও নাম না করেই বললেন, ইতালির আদালতের রায়ে যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তদন্তের অভিমুখ তাঁদের দিকেই হবে। এই দুর্নীতি কারা তৈরি করেছেন, কারা সমর্থন করেছেন আর কারা লাভ পেয়েছেন, তাঁদের ছাড়া হবে না। তার আগে বিজেপির পক্ষ থেকে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী সরাসরি নাম না নিয়েই বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের আগে সিবিআইয়ের জেরা করা উচিত সনিয়া গাঁধীকে। কারণ, তিনি নিজে সৎ হয়েও ‘সুপার পিএম’-এর থেকে নির্দেশ নিতেন। ইতালির আদালতে এই কপ্টার-দুর্নীতির দালালরা সনিয়ার ফটো চিহ্নিত করেছেন। এ দেশে কোনও সরকারি পদে না থেকেই সনিয়া যে গোটা চুক্তির নেপথ্যে ছিলেন, সেটিও স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে।
সংসদ চত্বরে আজ সনিয়া রাহুলের সমর্থনে মুখ খুলে বলেন, যাবতীয় অভিযোগে কোনও সত্যতা নেই। শুক্রবার লোকসভায় আলোচনার সময় সনিয়া নিজেও সরব হবেন। কিন্তু আজ সনিয়া তাঁর অনুগত সব সৈনিককে ময়দানে নামিয়ে দেন। এমনকী, বেনজির ভাবে তাঁর রাজনৈতিক সচিব অহমেদ পটেল ও প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনিও আজ সাফাই দিয়ে বিজেপির দিকে তোপ দাগেন। আহমেদ পটেল বলেন, তদন্তে কোনও অভিযোগ প্রমাণ হলে তিনি ইস্তফা দিয়ে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। অ্যান্টনি বলেন, অপবাদ না ছড়িয়ে সরকার তদন্ত করুক। দোষীদের শাস্তি দিক। তার আগে দলের পক্ষ থেকে আইনজীবী সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সনিয়া ও রাহুলের সমর্থনে যুক্তি দিয়ে বলেন, ইতালির আদালতে কোথাও সনিয়া গাঁধীকে দোষী করা হয়নি। আর যে সংস্থায় এক দালালকে নির্দেশ করা নিয়ে বিজেপি রাহুল গাঁধীর নাম টেনে আনছেন, সেটিও অসত্য। কারণ, রাহুল গাঁধীর সহায়কের সঙ্গে সেই সংস্থার কর্তৃপক্ষের পারিবারিক বিবাদ বহু বছরের। ফলে না রাহুলের, না তাঁর সহায়কের দূরদূরান্তেও কোনও সম্পর্ক রয়েছে।
আরও খবর...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy