রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবনে ইউক্রেন ‘হামলার চেষ্টা’ করেছে শুনে ক্রুদ্ধ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই ঘটনা যে তিনি একেবারেই পছন্দ করছেন না, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প জানান, পুতিনের কাছ থেকেই তিনি ঘটনার কথা শুনেছেন। এর পরেই কিছুটা অসন্তোষের সুরে বলেন, “আমি এটা একদমই পছন্দ করছি না। মোটেও ঠিক হয়নি। আমি খুবই রেগে গিয়েছিলাম।”
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে প্রায় চার বছর ধরে যুদ্ধ চলছে। দফায় দফায় মধ্যস্থতার চেষ্টা করেও এই সংঘর্ষ থামাতে পারেননি ট্রাম্প। রবিবার রাতেও পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ট্রাম্প। কী ভাবে যুদ্ধে ইতি টানা যায়, ট্রাম্প সেই চেষ্টাও করছেন বলে দাবি আমেরিকার। ঠিক এমন একটি সময়ে পুতিনের বাসভবনে ইউক্রেন হামলার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ তোলে রাশিয়া। যদিও সেই দাবি ইতিমধ্যেই ‘মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে কিভ। তবে যখন যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাময় দিক খোঁজার চেষ্টা চলছে, তখন এই ধরনের ঘটনা যে মোটেও পছন্দ করছেন না ট্রাম্প, তা তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাবে উল্লেখ করেছেন।
ওই হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে সোমবার ট্রাম্প বলেন, “এটা সংবেদনশীল সময়। এখন এ সব করার সঠিক সময় নয়। কেউ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলে, তার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা এক বিষয়। কিন্তু কারও বাড়িতে হামলা করা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। এখন এই দু’টির মধ্যে কোনওটিই করা উচিত নয়।” ইউক্রেনের বাহিনী পুতিনের বাসভবনে হামলার চেষ্টা করেছে, এমন কোনও প্রমাণ আমেরিকার কাছে রয়েছে কি না, তা-ও জানতে চাওয়া ট্রাম্পের কাছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বুঝিয়ে দেন, এই মুহূর্তে তাঁদের কাছে এমন কোনও প্রমাণ নেই। তিনি বলেন, “আমরা তা খুঁজে বার করব।”
আরও পড়ুন:
রুশ প্রশাসনের দাবি, সোমবার রাতে (স্থানীয় সময়) নভগরেড এলাকায় পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেনীয় সেনা। একটা-দুটো নয়, একসঙ্গে নাকি ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন দিয়ে হামলার চেষ্টা হয়েছিল। যদিও রুশ সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিটি হামলাকে রুখে দিয়েছে। কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি ক্রেমলিনের।
তবে রুশ প্রশাসনের এই অভিযোগ মানতে নারাজ জ়েলেনস্কি। তিনি এই ধরনের অভিযোগকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেছেন। একই সঙ্গে তাঁর পাল্টা দাবি, কিভের সরকারি ভবনগুলিতে হামলা করার ‘অজুহাত’ খুঁজছে মস্কো। তাই এই ধরনের অভিযোগ করে একটি পটভূমি তৈরি করছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট মনে করেন, এই সব দাবি করে শান্তি আলোচনাকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে রাশিয়া।