Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

লুপ্তপ্রায় পিগমি হগ বাঁচিয়ে পুরস্কার

বিরল প্রজাতির পিগমি হগ সংরক্ষণ ও প্রজননে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের জন্য ‘হ্যারি মেসেল পুরস্কার’ পেলেন পরিবেশবিদ গৌতম নারায়ণ। আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত আইইউসিএন-এর ‘স্পিসিস সারভাইভাল কমিশন লিডার্স মিটে’ ওই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়।

পিগমি হগের সঙ্গে গৌতম নারায়ণ। ছবি: ডারেল ট্রাস্টের সৌজন্যে।

পিগমি হগের সঙ্গে গৌতম নারায়ণ। ছবি: ডারেল ট্রাস্টের সৌজন্যে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:৪০
Share: Save:

বিরল প্রজাতির পিগমি হগ সংরক্ষণ ও প্রজননে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের জন্য ‘হ্যারি মেসেল পুরস্কার’ পেলেন পরিবেশবিদ গৌতম নারায়ণ। আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত আইইউসিএন-এর ‘স্পিসিস সারভাইভাল কমিশন লিডার্স মিটে’ ওই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়।

বিশ্বে একমাত্র মানসের অরণ্যে দেখা মেলে পিগমি হগের। লুপ্তপ্রায় এই ছোট্ট শূকরকে বাঁচাতে ১৯৯৫ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছেন গৌতম নারায়ণ। বশিষ্ঠ এলাকায় তিনি পিগমি হগদের প্রজনন ও সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়েন। সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত ৮৫টি প্রাণীকে নামেরি ও সোনাই-রূপাই অভয়ারণ্যের তৃণভূমিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গৌতমবাবু ওরাং জাতীয় উদ্যানে ১১টি পিগমি হগ ছেড়েছেন। চিড়িয়াখানাতেও দর্শকদের জন্য পিগমি হগ রাখার ব্যবস্থা করেছেন।

আইইউসিএন বিরল প্রজাতি সংরক্ষণের কাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকার জন্য ২০০৪ সাল থেকে হ্যারি মেশেল অ্যাওয়ার্ড দিচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ১৮ জন এই পুরস্কার পেয়েছেন। গৌতমবাবু ১৯৮০ সালে ‘বোম্বে ন্যাচরাল হিস্ট্রি সোসাইটি’তে পক্ষী বিশেষজ্ঞ সেলিম আলির অধীনে কাজ শুরু করেন।

১৯৯৫ সালে তিনি ‘ডারেল ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন ট্রাস্টে’ যোগ দেন ও গুয়াহাটিতে পিগমি হগ সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রটি গড়ে তোলেন গৌতম নারায়ণ। তাঁকে এই সংরক্ষণের কাজে সাহায্য করছেন পশু চিকিৎসক পরাগজ্যোতি ডেকা। আপাতত পিগমি সংরক্ষণ ও প্রজননের পাশাপাশি, এই বিরল প্রজাতির শূকরটিকে বাঁচাতে সমাজের বিভিন্ন স্তরে জনচেতনা বাড়াতে জোর দিচ্ছেন গৌতমবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Youth award pygmy hog
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE